হজের বিমান ভাড়া কমানোর ঘোষণা দিলেন নতুন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
গত বছর পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি হজযাত্রীপ্রতি বিমানভাড়া এক লাখ ৩৮ হাজার ১৯১ টাকা নির্ধারিত ছিল।
এ বছর ১০ হাজার টাকা কমিয়ে এক লাখ ২৮ হাজার ১৯১ টাকা ধার্য করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হজ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে গণমাধ্যমের সামনে প্রতিমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
চলতি বছর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হজ অধিকতর সুচারুভাবে পালনের লক্ষ্যে তার মন্ত্রণালয় থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে জানিয়ে মো. মাহবুব আলী বলেন, হাজিরা আল্লাহর ঘরের মেহমান। তাদের যেন কোনও প্রকার কষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় খেয়াল ও পরামর্শ দিয়ে থাকেন। হাজিদের কথা ভেবেই হজ ভাড়া কমানো হচ্ছে।
গুরত্বপূর্ণ এ সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ, ধর্ম সচিব মো.আনিছুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি আবদুস সোবহান, মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তছলিম উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, আটাব ও সিভিল এভিয়েশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও ছিলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের হজ ব্যবস্থাপনাকে সবচেয়ে ভালো করা হবে। আল্লাহর ঘরের মেহমানদের যেন চোখের পানি না ঝরে সেদিকে শুরু থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। পবিত্র হজ পালনের জন্য বাংলাদেশ থেকে রওনা হওয়া থেকে শুরু করে হজ পালন শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাজিদের ব্যাপারে খুবই সচেতন। তার কল্যাণেই বিমান ভাড়া কমছে। তিনি হাজিদের অন্যান্য সুবিধাদির ব্যাপারেও খেয়াল রাখার পরামর্শ ও নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং দেবেন ।
উল্লেখ্য, গত বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাত হাজার ১৯৮ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার বাংলাদেশি হজ পালন করে। এর মধ্যে সরকারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শতকরা ৫০ ভাগ ও সৌদি এয়ারলাইন্স অবশিষ্ট ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করে।
সম্প্রতি সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের হজ চুক্তি হয়। গত বছরের মতো এবারও এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করবেন।
তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত আরও ৩০ হাজার মানুষের হজের কোটা বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।