আলাদা থাকছিলেন অনেক দিন ধরেই। এবার সরকারিভাবেও ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল শ্রাবন্তী-কৃষ্ণ ভিরাজের।
বিয়ের প্রায় দেড় বছর পর আদালতে সিলমোহর পড়ল বিবাহ বিচ্ছেদে।
বিচ্ছেদের পর শ্রাবন্তী বলেন, আপাতত কাজ এবং ছেলেকে বড় করাই ফোকাস।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, ২০১৬-র জুলাইয়ে বিয়ে হয় শ্রাবন্তী ও কৃষ্ণ ভিরাজের। সেই সময় পরিবারের লোকজন এবং ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু, মুম্বাইয়ের মডেল কৃষ্ণ ভিরাজের সঙ্গে বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়। তার জেরে আলাদা থাকতে শুরু করেন দু’জন। যৌথ সম্মতিতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন শ্রাবন্তী এবং কৃষ্ণ। মঙ্গলবার সরকারিভাবে তাতে সিলমোহর পড়ল আলিপুর আদালতে।
শ্রাবন্তীর আইনজীবী অনুনয় বসু বলেন, ২০১৭ সালে পারস্পারিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের জেলা বিচারক রবীন্দ্রনাথ সামন্ত তাতে সিলমোহর দিয়েছেন।
শ্রাবন্তী আগেই জানিয়েছিলেন, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত কারও একার নয়, দু’জনের যৌথ সিদ্ধান্ত। আপাতত ছেলে ঝিনুককে বড় করা এবং নিজের কাজ, এই দু’টিতেই মনোযোগ দিতে চান। কারও বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই।
২০০৩ সালে শ্রাবন্তীর প্রথম বিয়ে হয় পরিচালক রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে। তাদের সন্তানই ঝিনুক। সেই বিয়েও ভেঙে যায়। দীর্ঘদিন বিচ্ছেদের পর বিয়ে হয় কৃষ্ণর সঙ্গে। শ্রাবন্তীর ছেলে ঝিনুকের সঙ্গেও কৃষ্ণ ভিরাজের সম্পর্ক ভালো ছিল।
এক সময় ইন্ডাস্ট্রিতে শোনা গিয়েছিল, শ্রাবন্তী এবং কৃষ্ণ একসঙ্গে একটি ছবিতে অভিনয় করবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।