আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিস্ময়কর জয় উদযাপনে আজ শনিবার সমাবেশ করবে। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই আয়োজন করা হয়েছে।
এরই মধ্যে বিজয় সমাবেশের যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। গত ১০ দিন ধরেই চলছিল প্রস্তুতি পর্ব। প্রস্তুতির প্রতিটি পরতেই ছিল নান্দনিকতার ছোঁয়া। মঞ্চ নির্মাণ থেকে শুরু করে সমাবেশ অঙ্গনকে সাজাতে শৈল্পিক কারুকাজও হয়েছে বেশ।
দলের নেতারা আশা করছেন, বিজয় উদযাপনের এই আয়োজনে কয়েক লাখ মানুষের সমাবেশ হবে। অতীতের যেকোনো সমাবেশের জনসমাগমকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য সামনে রেখে প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আগামী দিনে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরতে পারেন বলে জানা গেছে।
সমাবেশ শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে দুপুর ১২টা থেকে। বেলা ১১টা থেকে সমাবেশে আগতরা উদ্যানে ঢুকতে পারবেন।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৭টি আসনে জয় পায়।
সমাবেশ অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি, সরকারের উন্নয়নের নানাচিত্র এবং দলীয় প্রতীক নৌকা স্থান পেয়েছে। বিশাল সামিয়ানার নিচে প্রায় ৩০ হাজার চেয়ার বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোও সাজানো হয়েছে। এ সব জায়গায় শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার।
সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, ঢাকা ও তার আশপাশের জেলার আওয়ামী লীগ ও দলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিকবার প্রস্তুতি সভা করেছে তারা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশের মঞ্চ, সাজসজ্জা, মাঠ পরিষ্কার করা হয়েছে। খাবারের পানি, পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সমাবেশস্থলে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও ব্যবস্থা থাকবে।
সমাবেশে শৃঙ্খলার জন্য নেতা-কর্মীদের মিছিলের ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে উদ্যানে ঢুকতে নিষেধ করা হয়েছে।
উদ্যানের ছয়টি গেইটের মধ্যে শিখা চিরন্তন গেইট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় নেতারা, ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনের গেইট দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা আসবেন।
তিন নেতার মাজার লাগোয়া গেইট, বাংলা একাডেমির সামনের গেইট, টিএসটি গেইট ও চারুকলার সামনের গেইট দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা ঢুকবেন।