খাবার পানি সরবরাহকারী অনুমোদিত পাঁচ কোম্পানির বোতল ও জারের পানি ‘মানহীন ও পান উপযোগী নয়’ বলে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই)।
এই পাঁচ কোম্পানি হলো- ফ্রুটস অ্যান্ড ফ্লেভার লিমিটেডের ‘ইয়ামি ইয়ামি’, সিনহা বাংলাদেশ ট্রেডস লিমিটেডের ‘একুয়া মিনারেল’, ক্রিস্টাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘সিএফবি’, ওরোটেক ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির ‘ওসমা’ এবং শ্রী কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয় লিমিটেডের ‘সিনমিন’।
হাইকোর্টের নির্দেশে ১৫টি কোম্পানির (জার ও বোতলের) খাবার পানি পরীক্ষা করে এ প্রতিবেদন দিয়েছে পণ্যের মান নিরীক্ষাকারী সরকারি এ সংস্থাটি।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষের সংশ্লিষ্ট আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান এমন তথ্য জানান।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানির জন্য উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান এবং রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. জে আর খান রবিন। ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে ১৩ জানুয়ারি অবৈধভাবে ও নিম্নমানের জার ও বোতলজাত খাবার পানি উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধে গঠিত কমিটি কী কাজ করেছে তার বিস্তার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া বিএসটিআইকে এক সপ্তাহের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
গত বছর ৩ ডিসেম্বর এক আদেশে বেআইনিভাবে খাবার পানি বাজারে সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেন। বিএসটিআই ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। এছাড়া আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বিএসটিআই কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা ১৫ দিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে আদালতকে লিখিতভাবে জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালত ওই সময় অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনার পাশাপাশি রুল জারি করেন। রুলে প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে সরকারের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং প্লাস্টিক বোতল ও জারে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। খাদ্য ও স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সাতজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।