দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) ডাটাবেজ।
এর মাধ্যমে গ্রাহকরা মোবাইলটি নকল বা অবৈধ কি-না তা জেনে নিতে পারবেন। রোধ করা যাবে মোবাইল চুরি। চোরাইপথে আমদানি বন্ধ হওয়ায় বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়। মোবাইলের মাধ্যমে সংগঠিত হওয়া অপরাধও ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে মঙ্গলবার বিকালে আইএমইআই ডাটাবেজের উদ্বোধন করেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। নিজের মোবাইলের আইএমইআই নম্বর ১৬০০২ নম্বরে এসএমএস করে নিজের মোবাইলের সঠিকতা জানার মাধ্যমে ডাটাবেজের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, নতুন এই প্রযুক্তি চালুর ফলে দেশে গড়ে উঠা মোবাইল উদ্যোক্তারাও উপকৃত হবেন।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আইএমইআই ডাটাবেজ চালুর ফলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে৷ অবৈধ পথে হ্যান্ডসেট আমদানি বন্ধ হবে। কাস্টমস কর্তৃক আইএমইএই’র তথ্য জানা যাবে। নির্দিষ্ট সময়ে কত সংখ্যক মোবাইল আমদানি ও দেশে তৈরি হয়েছে তাও জানা যাবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, আইএমইআই ডাটাবেজ থেকে পরীক্ষা করে দেখা হবে কোন কোন নম্বর (আইএমইআই) নকল। তখন নকল আইএমইআই ব্যবহার হওয়া ফোনগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তাদের মতে, আইএমইআই নকল না আসল তা পরীক্ষার জন্য অনেক পদ্ধতি রয়েছে। মোবাইল ফোন পরীক্ষার জন্য সেসব পদ্ধতিই অনুসরণ করা হবে। যেভাবে আইএমইআই যাচাই করা যাবে: নতুন মোবাইল ক্রয় করার ক্ষেত্রে প্যাকেটের গায়ে লেখা ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর এবং ব্যবহৃত মোবাইলের ক্ষেত্রে *#০৬# চেপে KYD <Space> ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে ১৬০০২ নম্বরে পাঠিয়ে দিলে ফিরতি ম্যাসেজে আইএমইআই নম্বরটি বিটিআরসির ডাটাবেজে সংরক্ষিত রয়েছে কি-না তা জানা যাবে।