রোহিঙ্গা সংকটে চলতি বছর ৯২ কোটি ডলার প্রয়োজন

বিশেষ প্রতিনিধি

জাতিসংঘ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) ২০১৯ তৈরি করেছে। খবরে প্রকাশ, সংস্থাটির চলতি বছরের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন খাতে সংকট মোকাবেলা পরিকল্পনায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় ১৩ লাখ মানুষের জন্য ৯২ কোটি পাঁচ লাখ মার্কিন ডলারের অর্থায়নের চাহিদা প্রাক্কলন করা হয়েছে।

সবগুলো খাতে যে অর্থ ব্যয় করা হবে এবং যে সেবা পৌঁছে দেয়া হবে তাতে শুধু সাময়িক নয়, এখানকার মানুষ দীর্ঘমেয়াদি সুফল পাবে। কূটনৈতিক সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে। জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান ২০১৯ থেকে জানা যায়, ১২টি খাতে ভাগ করে অর্থায়নের প্রাক্কলন করেছে জাতিসংঘ। গতবারের মতো এবারও খাদ্য নিরাপত্তায় চাহিদা সবচেয়ে বেশি দেয়া হয়েছে।

universel cardiac hospital

সূত্র মতে, উখিয়া ও টেকনাফের তিন লাখ ৩৫ হাজার ৯৩০ জন স্থানীয় ও ৯ লাখ ৬ হাজার ৫১২ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ মোট ১২ লাখ ৪২ হাজার ৪৪২ জনের জন্য মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তার আওতায় আনতে প্রয়োজন পড়বে ২৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এরপরই ডব্লিউএএসএইচ (ওয়াশ) প্রকল্পে ১২ লাখ জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজন পড়বে ১৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলার। এখানে থাকা জনগোষ্ঠীর ৯ লাখ ৯ হাজার জনের আশ্রয়কেন্দ্রের প্রয়োজন রয়েছে।

তবে এদের মধ্যে ৯ লাখ ৫ হাজার জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে প্রয়োজন পড়বে ১২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য পুরো ১২ লাখ জনগোষ্ঠীকেই নির্ধারণ করা হয়েছে। আর স্বাস্থ্যখাতে প্রয়োজন পড়বে ৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। এছাড়া সাইট ব্যবস্থাপনার জন্য ৯ কোটি ৮৭ লাখ, সুরক্ষা ১২ লাখ মানুষের প্রয়োজন হলেও ৯ লাখ ৫০ হাজার জনের জন্য চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ কোটি ৫৯ লাখ ডলার।

শিক্ষার জন্য পাঁচ কোটি ৯৫ লাখ, পুষ্টির জন্য চার কোটি ৮০ লাখ, কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য এক কোটি ১০ লাখ, সমন্বয়ের জন্য ৪২ লাখ, সরবরাহের জন্য ২৮ লাখ এবং জরুরি প্রয়োজনে ১২ লাখ ডলারের চাহিদা প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রবেশের পর থেকে প্রতিবছরই জেআরপি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। জেআরপি ২০১৯-তে গত বছরের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

ঝুঁকি পরিস্থিতি উন্নয়নে শরণার্থী জনগোষ্ঠীর উদ্বেগের বিষয়গুলোকে টেকসই সমাধানে জোর দেয়া হয়েছে ২০১৯ সালের জেআরপিতে। এছাড়া ২০১৯ সালের জেআরপিতে চারটি খাতকে বিশেষ নজর দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হলো ১৩ লাখ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা, সাড়ে ৯ লাখ মানুষের সুরক্ষা ও সাড়ে চার লাখ জনগোষ্ঠীর শিক্ষা। সর্বশেষ কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগে আসছে বছরে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে