ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টে গেল যুক্তরাজ্য সংসদের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভোটদান বিধি । পাল্টানো বিধি মোতাবেক এখন থেকে গর্ভবতী এমপিরা শারীরিকভাবে হাউসে উপস্থিত হতে না পারলেও প্রতিনিধির মাধ্যমে সংসদীয় ভোট প্রদান করতে পারবেন।
গত ১৫ জানুয়ারি ব্রেক্সিট কার্যকরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মের প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তিটি পাসের জন্য ভোটাভুটি হয়েছিল।
ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সের নিয়ম, সংসদ সদস্যকে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে হবে। টিউলিপ সন্তান প্রসবের জন্য তার ভোটাধিকার প্রশ্নে আপস করতে রাজি ছিলেন না। ফলে নির্ধারিত সিজারিয়ান অপারেশন বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ওই দিন হুইল চেয়ারে করে কমন্সে যান ভোট দিতে।
এ ঘটনা তখন বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছিল। তাই এ নিয়ম পরিবর্তনে টিউলিপ সিদ্দিকীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ সপ্তাহেই কমন্সে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
সদ্য বাবা-মা হওয়া সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে পরীক্ষামূলকভাবে এক বছরের জন্য প্রক্সি ভোটিং চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গর্ভবতী এমপিরা তাদের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য অপর একজন সংসদ সদস্যকে মনোনীত করতে পারবেন।
এদিকে প্রক্সি ভোটিংয়ের বিধান পরিবর্তনকে ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ আখ্যায়িত করেছেন টিউলিপ।
এক টুইটার বার্তায় তিনি মন্তব্য করেছেন, ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই আমি প্রক্সি ভোটিংয়ের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলাম। কিন্তু তখন আমাকে অনেকেই বলেছিলেন- চেষ্টা করে লাভ হবে না। কমন্সের বিধি পাল্টাবে না। কিন্তু আজ সে বিধি পাল্টেছে। এখন থেকে নতুন বাবা-মা হওয়া সংসদ সদস্যরাও ভোট দিতে পারবেন।