বাংলাদেশে গত বছর ৫ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৫ হাজার ৪৬৬ জন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলন করে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদের আলোকে সমিতির প্রতিবেদনে তৈরি করা হয়েছে।
গত কয়েক বছরে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে যানবাহনের সংখ্যানুপাতে দুর্ঘটনার সংখ্যা ‘অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে’ রাখা সম্ভব হয়েছে বলে সমিতি মনে করে।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরো বলেন, সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকারের প্রতিফল ঘটিয়ে সড়ক নিরাপত্তায় যথাযথ পদক্ষেপ নিলে আগামীতে সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।
সমিতির বার্ষিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়লেও হতাহতের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
তাদের আগের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে চার হাজার ৯৭৯টি সড় দুর্ঘটনায় সাত হাজার ৩৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল, আহত হয়েছিলেন ১৬ হাজার ১৯৩ জন।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, পরিবহন খাতে জবাবদিহি নিশ্চিত না করতে পারায় সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামানো যাচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার তাড়াহুড়ো করে সড়ক পরিবহন আইন পাস করলেও তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিচ্ছে না। পরিবহন খাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার লোকজন, পুলিশ, পরিবহন মালিক, শ্রমিকদের নিয়ে দুর্নীতির দুষ্ট চক্র গড়ে উঠেছে। এই চক্র চায় না পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসুক। এই প্রেক্ষাপটে সড়কে সুশাসন প্রতিষ্ঠা নতুন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান, সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ প্রমুখ।