কেন্দ্রীয় চুক্তি মাশরাফিকে রেখেই

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে রেখেই হতে যাচ্ছে ২০১৯ সালের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তি। আগের মতোই এবারো কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ক্রিকেটারের সংখ্যা থাকছে ১০-১২ জন। তবে নতুন রুকি ক্রিকেটার ক্যাটাগরিতে যুক্ত হতে যাচ্ছেন তরুণ অফ স্পিনার নাঈম হাসান, পেসার আবু জায়েদ রাহী ছাড়াও আরো একটি নতুন মুখ। ২০১৮ সালের রুকি ক্যাটাগরিতে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস, অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবার জায়গা পাচ্ছেন বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে।

গতকাল এ তথ্য দিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি বলেন, ‘নির্বাচক কমিটি প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের সঙ্গে আলোচনা করেই ২০১৮ সালের ক্রিকেটাদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হয়েছে। যদিও ২০১৮ সালের শুরুতে কোচ জাতীয় দলের দায়িত্বে ছিলেন না। আগের বছরের মতোই (২০১৮) এবারো ‘এ’ প্লাসসহ বিভিন্ন গ্রেডে ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্থান দেয়ার জন্য ১০-১২ জনের নাম পাঠানো হয়েছে বিসিবির ক্রিকেট অপারেন্স কমিটির কাছে। এবারের চুক্তিতে বড় কোনো পরিবর্তন নেই। রুকি ক্যাটাগরিতে দুই থেকে তিনজন ক্রিকেটার যুক্ত হতে যাচ্ছেন। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগে বোর্ড মিটিং হওয়ার কথা। ওই সভায় বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের নামের পাশে স্বাক্ষর করলে ২০১৯ সালের ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি কার্যকর হবে।’

২০১৮ সালের আগে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে পেশাগত চাকরির মতো প্রতি মাসে ১৫ জন ক্রিকেটার বিভিন্ন গ্রেডে পারিশ্রমিক পেতেন। তবে পারফরম্যান্স মূল্যায়নের বিচারে গত বছর এ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ জনে।

বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে থেকে অবসর নিতে পারেন, এমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন মাশরাফি। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের অবসরের ঘোষণা সময়ের ব্যাপার বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও নতুন বছরে (২০১৯) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাখা হচ্ছে মাশরাফিকে। এ প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক নান্নু বলেন, ‘মাশরাফি এখনো জাতীয় দলে খেলছেন। তার অবসরের বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি দলের অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার। ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্সও করছেন মাশরাফি। দলে তার মতো ক্রিকেটার খুব দরকার। যখন তিনি অবসর নেবেন, তখন হয়তো এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে। তবে মাশরাফির ব্যাপার নিয়ে আমাদের আর কোনো আলোচনার প্রয়োজন দেখছি না।’ 

এদিকে গত বছরের শুরুতে রাজশাহীতে জাতীয় লিগের ম্যাচ চলাকালীন ম্যাচ রেফারি ও দর্শকের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে বোর্ডের শাস্তি হিসেবে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েন সাব্বির। এ বছরেও কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরেই থাকতে হচ্ছে তাকে। যদিও আসন্ন নিউজিল্যান্ড সফরে স্কোয়াডভুক্ত হয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচকের ভাষ্য, ‘সাব্বির সামনের মাসের নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় ছিলেন না। আমাদের ভাবনায় ছিলেন চিটাগং ভাইকিংসের চৌধুরী ইয়াসির আলী রাব্বি। কিন্তু ওয়ানডে অধিনায়কের জোরালো সমর্থনের কারণে সাব্বিরকে (শাস্তি কমিয়ে) জাতীয় দলে ফেরানো হয়েছে। এখন জাতীয় দলে ফিরেছে বলে তাকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফেরাতে হবে, ব্যাপারটা এত সহজ নয়। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরতে হলে কিছু প্রক্রিয়া থাকে। সাব্বির সে প্রক্রিয়ার বাইরে আছে। তাছাড়া জাতীয় দলের বাইরে থাকা অবস্থায় তার ঘরোয়া পারফরম্যান্সও বলার মতো পর্যায়ে নেই। যেহেতু জাতীয় দলে ফিরেছেন, যদি খেলার বাইরে তার আচরণের সঙ্গে মাঠের ক্রিকেটে পারফরম্যান্সে উন্নতি হয়, তখন হয়তো তার চুক্তির বিষয়টা বিবেচনায় আসবে।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে