৩০ জানুয়ারী ২০১৯ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হয়েছে। স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার নির্বাচন এবং রাষ্ট্রপতির ভাষণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ যাত্রা। অন্যান্য সংসদ থেকে এই বারের সংসদ বহুলাংশেই ১৯৭৩ সনের সংসদের সাথে মিল আছে। বঙ্গবন্ধুর সময়ে বিরোধী দল প্রায় অনুপস্থিত থাকা সত্বেও আতাউর রহমান খান সাহেবকে তিনি বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা দিয়েছিলেন। বর্তমান সংসদেও বিধি বিধান অনুযায়ী বিরোধী দল গঠনের মতো অবস্থা না থাকা সত্বেও এরশাদ সাহেবের জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে এবং জেনারেল এরশাদকে বিরোধী দলের নেতা স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আশা করি তারা বিরোধী দল হিসেবে পারফরম্যান্স করতে পারবেন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সনের সঙ্কটের সময় বলেছিলেন যে, (পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত) একজনও যদি হক কথা বলেন, তবে আমরা তা বিবেচনায় নেব। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন যে, বিরোধী দলের একজনও ন্যায্য কথা বললে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে। ১৪ দলের যাঁরা নৌকা মার্কায় জিতেছেন, তাঁরাও কথা দিয়েছেন যে, তাঁরা সরকারের ভুলত্রæটি তুলে ধরবেন। আমরা তাঁদের এই সদিচ্ছার পুরো কদর করি।
সুতরাং আমরা আশা করি যে, এই সংসদ একটি প্রাণবন্ত সংসদ হবে। আমরা এই সংসদের শুভ কামনা করি এবং প্রত্যাশা যে, এই সংসদ জাতিকে উন্নয়নের অভিযাত্রায় নেতৃত্ব দিবে।