জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন বিভাগের ১৭ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৩০৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাদকসেবন, নারীর শ্লীলতাহানী, ছাত্রী নিপীড়নসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, মাইক্রোবায়োলোজি বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের ১৬ ছাত্রী ও একই বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের এক ছাত্রীর আনা অশ্লীলতা ও নিপীড়নের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একই বিভাগের ১১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন- মাইক্রোবায়োলোজি বিভাগ ৪৫তম ব্যাচের মো. নাঈম-ই-আক্তার, ইজাজ আহমেদ, মো. মেহেদী হাসান ও মো. ইকবাল হোসেন। তাদের ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্যরা একই বিভাগ ও ব্যাচের মো. সজিব হোসাইন, মো. আল-আমিন শৈশব, মো. আবু নাঈম ও জি এম তারিকুল ইসলামকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সেইসঙ্গে একই বিভাগ ও ব্যাচের মো. শাহরিয়ার খানকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড এবং নাহিদুল ইসলাম ও মো. ওমর ফারুককে তিন মাসের বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম আমালউদ্দিন হলের ৩৩৫ নম্বর কক্ষে মাদক সেবনের অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগ তদন্তের প্রেক্ষিতে সিএসই বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন ও বাংলা বিভাগ ৩৯তম ব্যাচের মো. মঈন উদ্দিনকে (জনি) ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গত ৯ জানুয়ারি ক্যাম্পাসের বটতলায় তিন শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার দায়ে মো. রিজওয়ান রাশেদ সোয়ান (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, ৪৭তম ব্যাচ), কে. এম. মাহিদ হাসান (প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, ৪৭তম ব্যাচ) ও আহসানুজ্জামান শাওনকে (মার্কেটিং বিভাগ, ৪৭তম ব্যাচ) সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের এক ছাত্রীকে নিপীড়নের ঘটনায় একই বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের আজগর হোসেন রাব্বিকে তিন মাসের জন্য বহিষ্কারের আদেশ দেয়া হয়।