প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না বলেও আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, গতবার যে পদ্ধতি গৃহীত হয়েছিল তার ফলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। এবারও আমরা আশা করছি এ বছর কোন প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না। কেউ যদি গুজব রটায়, সেই গুজবে যাতে কেউ কান দেবেন না। অভিভাবক এবং পরীক্ষার্থীর কেউ যাতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে প্রতারিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে আসনগ্রহণ করতে হবে। ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের সকল সেট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের নিকট প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যতীত অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।কেন্দ্র সচিব ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু কেন্দ্র সচিব মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো অনিয়ম করলে এমপিও বাতিলের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাবলিক পরীক্ষায় বেআইনি কোনো কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিলের ব্যবস্থা নেয়া হবে। দোষী ব্যক্তি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কেউ হলে তাকে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, এবার আটটি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। এরমধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন ছাত্রী রয়েছে। এবারে মোট পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা তিন হাজার ৪৯৭ ও মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৮ হাজার ৬৮২টি।