কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা তৈরির পর দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক নজরদারি ও জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরও জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়নি গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের একাংশ সতর্ক হলেও চোখ ফাঁকি দিয়েই চলছে কোচিং বাণিজ্য। নীতিমালায় শাস্তির বিধান না থাকা ও শিক্ষা আইন প্রণয়নে দীর্ঘসূত্রতার কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দফায় দফায় অভিযানেও সফলতা আসছে না। একইভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পৌনে দুই লাখ কোচিং সেন্টারের লাগামও টেনে ধরা যায়নি। পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের আশঙ্কায় এসব সেন্টার মাসখানেক বন্ধ রাখার নির্দেশনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ সরকারের তদারকি ব্যবস্থা। এমনকি কোচিং সেন্টারগুলোকে ‘ছায়াশিক্ষা’ হিসেবে স্বীকৃতির দেয়ার দাবিতে সোচ্চার মালিক ও পরিচালকদের সংগঠন।
শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে নীতিমালা প্রণয়ন করা হলেও চার বছর পর ২০১৬ সালে সজাগ হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) কোচিং বন্ধে বিভিন্ন অঞ্চল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়। তবে তাতে আশানুরূপ সফলতা না আসায় ২০১৭ সালের শুরুতেই মাঠে নামে দুদক। রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কোটি কোটি টাকার কোচিং, ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্য তদন্তে দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের টিম কাজ শুরু করে। নয় মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে ১ নভেম্বর কোচিং বাণিজ্যে জড়িত ২৪টি সরকারি স্কুলের ৫২২ জন শিক্ষককে বদলি এবং এমপিওভুক্ত ও নামিদামি সরকারি মিলে ৮টি প্রতিষ্ঠানের ৯৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়। দুদকের সুপারিশে ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মাউশি থেকে রাজধানীর ৫টি সরকারি বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষককে বদলির আদেশ দেয়া হয়।
অন্যদিকে একই বছরের নভেম্বরে রাজধানীর বিভিন্ন খাতের ১১০টি কোচিং সেন্টারের তালিকা ধরে অনুসন্ধানে নামে দুদক। যে তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং ৩৩টি, মেডিকেল ভর্তি কোচিং ১৫টি, প্রকৌশল ভর্তি ৫টি, মেরিন, টেক্সটাইল ও ক্যাডেট মিলে ৬টি, একাডেমিক ১৮টি, বিসিএস/চাকরি মিলে ১৪টি এবং ইংরেজি ভাষা শেখার ১৯টি কোচিং সেন্টার অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরে দুদক ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান টিম কোচিং বাণিজ্য বন্ধে মাঠে নামে। প্রশ্নপত্র ফাঁস, ভুয়া পরীক্ষার্থী সরবরাহ, অর্থের বিনিময়ে ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে ৩১ ডিসেম্বর রেটিনা, ইউসিসি ও সাইফুরসসহ ৩০টি কোচিং সেন্টারের মালিককে দুদকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের হিসাব চাওয়া হয় কোচিং মালিকদের কাছে। পরে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ঢাকার ১৫টি নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য ও কোচিং বাণিজ্য অনুসন্ধান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠায়।
একই সঙ্গে অননুমোদিত প্রচারণার দায়ে কোচিং সেন্টারগুলোকে ২০১৭ সালের ২৫ অক্টোবর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে লাইসেন্স বাতিলে চিঠি দেয়া হয়। পরে ইউনিএইড, আইকন, ইউসিসি, আইকন প্লাস, ওমেকা, প্যারাগন, এক্সপার্ট একাডেমিক, গেটওয়ে ইন্টারন্যাশনাল, গ্রিনহিল টিউটরিয়াল, কম্বাইন টিউটরিয়াল, উদ্ভাস, সানিহিলস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ক্যাডেট একাডেমি ও রকিবুল ইসলাম অনার্স কোচিংয়ের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। এ ছাড়া আইন অমান্য করে ব্যানার-পোস্টার লাগানোর কারণে একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের ও কোচিং সেন্টারগুলোর বাণিজ্য বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। উপরন্তু কোচিং বাণিজ্য বন্ধে প্রণীত নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিটও করা হয়েছে। দুদকের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে গত বছর কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠায়। সেই নোটিস পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকরা জবাব দেয়ার পরিবর্তে কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এতে আদালত সেই কারণ দর্শানোর নোটিসের কার্যকারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করেন। তবে ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। গেল বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ রুলের নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি শুনানির পর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রিট আবেদনের রায়ের দিন নির্ধারণ করেছেন।
কোচিং সেন্টার বন্ধে ২০১১ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেছিলেন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুদু। আদালত থেকে ১৭ অক্টোবর সরকারি এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষকদের কোচিংয়ে পড়ানোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ দেন। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
রিটে উল্লেখ করা হয়েছিল, সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা সংবিধানের ১৫ (ক) ও ২১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করে কোচিং করিয়ে আসছেন। শ্রেণির কার্যক্রমে অংশ না নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বা নিজ বাসাবাড়ি ও আলাদা কক্ষ ভাড়া নিয়ে কোচিংয়ে পাঠদান করেন। এমনকি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট বা বাধ্য করা হয়। স্কুলের বাইরে কোচিংয়ে ক্লাস করিয়ে বাড়তি টাকা পান বলে স্কুলগুলোতে নিয়ম অনুসারে পাঠদান করেন না। কিন্তু সরকার যেহেতু তাদের বেতন দেয়, স্কুলে নিয়ম অনুসারে পাঠদান করা তাদের দায়িত্ব। হাইকোর্টের রুলের জবাব দিতে ২০১২ সালের ৪ জানুয়ারি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় এক যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী সভায় জানিয়েছিলেন, কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তালিকা তৈরির পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে হাইকোর্টে দায়ের করা রিটের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ২০ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা ২০১২ প্রণয়ন করা হয়। তবে নীতিমালায় শাস্তির কোনো বিধান না থাকায় কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করতে ২০১৬ সালে শিক্ষা আইন প্রণয়নের পরিকল্পনায় তৈরি করা হয় আইনের খসড়া। তাতে ‘সহায়ক বই’ বা ‘অনুশীলন বই’ প্রকাশের পাশাপাশি কোচিং ও প্রাইভেট টিউশনির সুযোগ চালু রাখার প্রস্তাব করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় খসড়ায় কোচিং সেন্টারগুলোকে ‘ছায়া শিক্ষা’ হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। এসব নিয়ে নানা আলোচনা-বিতর্ক দেখা দিলে পরে সর্বস্তরের মতামত নেয়ার জন্য খসড়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়। সেই ঘটনার পর তিন বছর কেটে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি শিক্ষা আইন।
অন্যদিকে, শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালায় সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে নিষেধ করা হলেও অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিজ বাসায় পড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো বাধা রাখা হয়নি। এসব কারণে কোচিং বাণিজ্য জড়িতদের শাস্তির আওয়াত আনা নিয়েও নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে।
কোচিং সেন্টারগুলোকে বৈধ্যতা ও ‘ছায়া শিক্ষা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গত বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয় রাজধানীর কোচিং সেন্টারগুলোর পরিচালকদের সংগঠন কোচিং এসোসিয়েশন বাংলাদেশের (সিএবি) পক্ষ থেকে। তাতে উন্নত দেশের আদলে তাদের কোচিং সেন্টারগুলোকে একটা আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার দাবি তোলেন সংগঠনের নেতারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিএবির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উদ্ভাস একাডেমির পরিচালক মাহবুবুল হাসান সোহাগ বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই কোচিং সেন্টার বৈধ। তিনি দাবি করেন, কোচিং ছাড়া ভালো শিক্ষা সম্ভব নয়। গবেষণাপত্রে এসব তুলে ধরা হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে আজও কোনো সাড়া মেলেনি।
গণস্বাক্ষরতা অভিযানের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সারা দেশে প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৫ কোটির বেশি। এর মধ্যে অর্থের বিনিময়ে কোচিং নেয় ৪ কোটি ২৪ লাখের মতো শিক্ষার্থী। ছোট-বড় মিলিয়ে দেশে কোচিং সেন্টারের সংখ্যা দুই লাখের মতো। আর এসব কোচিং সেন্টারে প্রতি বছর লেনদেন হয় ৩৫ হাজার কোটি টাকার মতো।
প্রাচীনকালের গুরু-শিষ্যের ধারা থেকে যখন শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে তখন থেকেই গুরুরা গৃহশিক্ষকতায় এসেছেন। শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচিং সেন্টারগুলো গৃহশিক্ষকতারই পরিবর্তিত, বিস্তৃত ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ। এসব প্রতিষ্ঠানে শুধু শিক্ষকরাই শিক্ষকতা করেন না, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পার্টটাইম শিক্ষক হিসেবে কাজ করছেন। কোর্স ম্যাটেরিয়াল, শ্রেণিকক্ষের পরিবেশ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে কোচিং সেন্টারগুলোর মধ্যে চলছে তীব্র প্রতিযোগিতা। ইউনেস্কোর এক জরিপে দেখা যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে টিউশন গ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষার সংখ্যা বেশি ও পরীক্ষামুখী শিক্ষা ব্যবস্থার কারণেই প্রাইভেট টিউশনের হার অত্যধিক।
এ ব্যাপারে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সরকার আব্দুল মান্নান বলেন, কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালায় কোনো শাস্তির বিধান নেই। তাই কোচিং বাণিজ্য বন্ধে এ নীতিমালা যথেষ্ট নয়। সুনির্দিষ্ট আইন থাকলে কোচিং বাণিজ্যে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা যেত। শিক্ষা আইন এ ক্ষেত্রে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত কোচিং বাণিজ্য প্রতিরোধ বিষয়ে এ শিক্ষাবিদ জানান, অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত ফলাফলমুখী। বিশেষত অভিভাবকরা সন্তানদের কাছ থেকে পরীক্ষায় ভালো ফলাফলই শুধু আশা করেন। এ কারণে কোচিং বাণিজ্য সামাজিক আনুক‚ল্য পাচ্ছে। একই রকম মন্তব্য শিক্ষা নিয়ে গবেষণা করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক সৈয়দা তাহমিনা আক্তারের। তিনি বলেন, টাকা দিলেই ভালো শিক্ষা মেলে এমন একটা ভয়ঙ্কর প্রবণতা আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে। এ প্রবণতা জাতীয় মেধাকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই শিক্ষাকে পরীক্ষামুখী নয়, জ্ঞানমুখী করতে হবে। এ জন্য আগে কোচিং বন্ধ করে শিক্ষকদের ক্লাসে মনোযোগী হতে হবে।
জানতে চাইলে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে পরীক্ষার সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বেশি করে পরীক্ষামুখী হয়ে পড়েছে। তারা ভালো ফলাফলের জন্য যতটা আগ্রহী, শিক্ষায় ততটা নয়। ফলাফলমুখী তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে শিক্ষায় কোচিং বা প্রাইভেট টিউশনি নির্ভরতা বেড়েছে। আমাদের শিক্ষাব্যয়ের বড় একটি অংশ কোচিং ও টিউশনি খাতে ব্যয় হচ্ছে। তিনি মনে করেন, নীতিমালা করে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করার সুযোগ কম। এ সংক্রান্ত আইন থাকলেই কেবল নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
ক্যাম্পাস