ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিতদের শপথ না নিতে সতর্ক করলেন কাদের সিদ্দিকী

ডেস্ক রিপোর্ট

আবদুল কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত কেউ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলে জনগণ তাদেরকে ধরে রাস্তায় টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ।

আজ শনিবার মতিঝিলে দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা।

universel cardiac hospital

গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আটটি আসনে জয় পাওয়ার পর বিএনপি এবং তার জোট ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না নেওয়ার কথা জানানো হয়।

তবে ধানের শীষ নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে বিজয়ী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এবং সিলেট-২ আসন থেকে উদীয়মান সূর্য (গণফোরামের প্রতীক) নিয়ে জয়ী মোকাব্বির খান সম্প্রতি শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন। এমনকি গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেনের সিদ্ধান্তও মানতে চাইছেন না তারা।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আজকে যারা শপথ নিতে চাচ্ছেন, পাবলিক তাদের রাস্তায় ধরে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে।

তিনি বলেন, কয়েক দিন যাবত খুবই আলোচনা হচ্ছে গণফোরামের দুই প্রার্থী- সত্যিকার অর্থে গণফোরামের দুই প্রার্থী নয়, এক প্রার্থী। তার নাম মোকাব্বির। আরেকজন সুলতান মুহাম্মদ মনসুর। মুক্তিযুদ্ধে কোথায় ছিল জানি না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদের সময় সে আমার সহকর্মী ছিল, আমি তাকে অত্যন্ত স্নেহ করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি ছিল। তাকে নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে, শপথ নেওয়া না নেওয়ার ব্যাপারে।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, এখানে তার শপথ নেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। তিনি ভাবতে পারেন যে, তিনি শপথ নিতে পারেন। কিন্তু জনগণ ভাবতে পারে না যে, তারা নির্বাচত হয়েছেন এবং শপথ নিতে পারেন। কারণ, ৩০ ডিসেম্বর কোনো নির্বাচন হয়নি, ভোট হয়নি। সেই জন্য সেই নির্বাচনে কোনো প্রার্থী নির্বাচিত হয় নাই। তাই তাদের শপথ নেওয়ার কোনো কথা আসে না।

দুই নেতা শপথ নিলে কী হতে পারে- সেই সতর্কতা দিয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, এতে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে নির্বাচিত দুই চারজনকে ধরে ইট দিয়ে মাথায় আঘাতের পর আঘাত করে মেরে নদীতে ফেলে দিয়েছে। এটা হলো গণবিক্ষোভ। আজকে যারা শপথ নিতে চাচ্ছেন, পাবলিক তাদের রাস্তায় রাস্তায় ধরে টুকরো টুকরো করে ফেলতে পারে।

অবিলম্বে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবিও করেন জনতা লীগ নেতা।

তিনি বলেন, তারা এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।

ঐক্যফ্রন্টের পরাজিত প্রার্থীরা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে সায় দেননি কাদের সিদ্দকী।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এই ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার পক্ষে নয়। কারণ, সরকার, নির্বাচন কমিশন, আইন-আদালত আজ্ঞাবহ হিসেবে তাদের পরিচয় দিয়েছে। তাই ট্রাইব্যুনালও হয়তো তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য বসে আছে যে, মামলা যথাযথভাবে উপস্থাপন হয়নি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে