আদালত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছে ।
আজ রোববার আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এ নতুন তারিখ ঠিক করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, মামলা দুটিতে বুধবার চার্জ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ম্যাডামকে (খালেদা) কারাগার থেকে আদালতে না আনায় আমরা সময় চেয়েছিলাম।
২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ভুয়া জন্মদিনের মামলাটি করেন। পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে খালেদা জিয়ার ৫টি জন্মদিনের তথ্য পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট নেই। এ অবস্থায় তিনি ৫টি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওই দিন জন্মদিন পালন করেন।
অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের মদদের মামলাটি ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী দায়ের করেন।
পরে ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এ বি এম মশিউর রহমান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই বছর ১২ অক্টোবর সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মামলায় বলা হয়, খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর রাজাকারদের হাতে মন্ত্রিত্ব তুলে দেন। স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটিয়েছেন তিনি।