শেষ ম্যাচে জয় দিয়েই সিরিজ শেষ করল ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

প্রথম তিন ম্যাচ জিতে ভারত আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল । তাদের সামনে সুযোগ ছিল শেষ দুই ওয়ানডে জিতে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে কোহলি-ধোনিকে ছাড়া নেমে রীতিমতো নাকানি চুবানি খায় সফরকারীরা। প্রথমে ব্যাট করে গুটিয়ে যায় ৯২ রানে। হারে ৮ উইকেটের ব্যবধানে।

আজ রোববার সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে কোহলিকে না নামালেও ধোনিকে ফিরিয়ে আনে ভারত। ব্যাট হাতে ধোনি বিশেষ কিছু করতে না পারলেও অল আউট হওয়ার আগে ৪৯.৫ ওভারে ২৫২ রান করে তারা। জবাবে ৪৪.১ ওভারে ২১৭ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ফলে সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে ৩৫ রানের পায় ভারত। এই জয়ে ৫ ম্যাচের সিরজি ৪-১ ব্যবধানে শেষ করল সফরকারীরা।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আম্বাতি রাইডু। আর ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছেন মোহাম্মদ শামি।

ওয়েলিংটনে এদিন ভারতীয় টপ অর্ডারের ৫ জনের মধ্যে চারজনই দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। তবে আম্বাতি রাইডু, বিজয় শঙ্কর, কেদার যাদব ও শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার একটি ঝকঝকে ইনিংসে ভর দিয়ে আড়াইশ পার করে স্বাগতিকরা।

রাইডু ৪টি ছক্কা ও ৮টি চারে সাজিয়ে ১১৩ বলে ৯০ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি ওয়ানডেতে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হয়েছেন।

এছাড়া বিজয় শঙ্কর ৪৫, কেদার যাদব ৩৫ রান করেন। আর শেষ দিকে দলের রানের গতিটা বাড়ে পান্ডিয়ার ২২ বলে ৪৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে। ৫টি ছক্কা ও ২টি চার মেরেছেন এই অল রাউন্ডার।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন ম্যাট হেনরি। ট্রেন বোল্ট নিয়েছেন ৩ উইকেট।

ভারতের দেওয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। এ অবস্থায় টম ল্যাথামকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। দুইজনের জুটিতে আসে ৬৭ রান। তারপরই ব্যক্তিগত ৩৯ রানে আউট হয়ে যান উইলিয়ামসন। এর কিছুক্ষণ পর ৩৭ রানে আউট হয়ে যান ল্যাথামও।

এক সময় দলীয় ১১৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। এ অবস্থায় মারমুখী ব্যাট করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন জেমস নিশাম। কিন্তু রান আউটের শিকার হয়ে তিনিও ব্যর্থ হন।

তার আগে ৩২ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। এরপর আর সেভাবে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি কোন কিউই ব্যাটসম্যানই। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে তারা।

ভারতের হয়ে ৪১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ শামি ও পান্ডিয়া। ভুবনেশ্বর কুমার ও কেদার যাদব নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে