সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, জাতীয় পার্টি কখনোই সংসদে গৃহপালত বিরোধী দল হতে যাবে না এবং কারো পাতানো খেলায় অংশ নেবে না ।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী জাতীয় পার্টি সংসদের প্রতিটি অধিবেশনে ভূমিকা রাখবে।
আজ রোববার রাজধানীর বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
৩০ ডিসেম্বরের ভোটে আওয়ামী লীগের শরিক হিসেবে লড়ে ২২টি আসন পাওয়া জাতীয় পার্টি সংসদে বসেছে বিরোধী দলের আসনে।
এর আগে ২০১৪ সালে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সমঝোতা করে আলাদা নির্বাচন করে একই ভূমিকা তারা পালন করে গত ৫ বছর। তবে সে বছর মন্ত্রিত্ব নিয়ে সামলোচিত হয় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন দল। তবে এবার সরকারে যোগ দেয়নি দলটি।
গত ৫ বছর বিরোধী দলের পাশাপাশি মন্ত্রিত্ব নেওয়ার কারণে জাতীয় পার্টির ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। তাদেরকে ‘গৃহপালিত’ বিরোধী দল হিসেবে কটাক্ষও করা হতো।
এর আগে এরশাদ শাসনামলে প্রথম গৃহপালিত বিরোধী দলের প্রসঙ্গ আসে। ১৯৮৮ সালে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ প্রধান দলগুলোর বর্জনের মুখে জোট করে ভোটে যান বর্তমানে বিএনপির শরিক জেএসডির নেতা আ স ম আবদুর রব। তার নেতৃত্বে সম্মিলিত বিরোধী দল সে সময় সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসে। তখন রবকে গৃহপালিত বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে ডাকা হতো।
জি এম কাদের বলেন, সংসদে মাত্র ২২টি আসন পেলেও জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দল হিসেবে কার্যকর ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে যাবে। সদস্য সংখ্যা কোনো বিষয় নয়, আমরা কতটা ভূমিকা রাখতে পারব সেটাই বড় কথা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনাস্থা দিয়ে সরকার বদল করা যাবে না। শুধু নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব। তাই বিরোধী দলের ভূমিকা রেখেই জাতীয় পার্টি সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করবে। যাতে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।