বাংলাদেশ ডাক বিভাগ অধিকতর নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলা বজায় রেখে মানুষকে আরও বেশি লেনদেনের স্বাধীনতা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে শুরু হতে যাওয়া “নগদ”-এর কার্যক্রম শুরু করেছে ।
ইতিমধ্যে ঢাকা জিপিও এবং চট্টগ্রাম জিপিও নতুন রূপে সজ্জিত হওয়াসহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মূলত ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা দেশের প্রায় ৫০% জনগণের দোরগোড়ায় আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ।
এর ফলে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাচ্ছে ডাক বিভাগ এবং কর্মকর্তাদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে নবোদ্যম।
শতবর্ষী সেবার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন ভাবে জেগে ওঠার প্রত্যয়ে ‘বাংলাদেশ ডাক বিভাগ’ দেশের প্রথম ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস চালু করেছে যা ‘নগদ’ নামে আখ্যায়িত হয়েছে।
নতুন দিনের ডাকে সাড়া দিয়ে তাৎক্ষনিক এবং দ্রুততার সাথে আর্থিক লেনদেনের সুবিধা প্রদানের অপর নাম ‘নগদ’। গ্রাহক সেবাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে ‘নগদ’-এর সামনে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গিকারে বদলে গিয়েছে ডাক বিভাগের দৃশ্যপট।
চিরচেনা সেই পুরোনো ভবনটি এখন ‘নগদ’-এর নতুন সাজে সজ্জিত। গ্রাহক ও ডাক বিভাগের কর্মচারীদের মাঝেও এই পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে।
সবমিলিয়ে ডাক বিভাগ যেন ফিরে পেয়েছে প্রাণচাঞ্চল্য।
এছাড়াও আর্থিক সেবা নিরাপদে জনগনকে প্রদানের লক্ষ্যে বিপিও-এর প্রায় শতাধিক কর্মীকে অ্যান্টি মানি লন্ডারিং বা এএমএল-সিএফটি সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহা পরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জিপিও-তে নগদ-এর ব্র্যান্ডিংসহ সেবা প্রদান করা শুরু হয়েছে।
এছাড়া আগামী প্রান্তিকের মধ্যে দেশব্যাপি বিপিও-এর ১০০টি শাখা অফিস ‘নগদ’ সেবাপ্রদানের লক্ষ্যে ঢেলে সাজানো হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ডাক অফিসের ৪০ হাজার কর্মচারী এবং তাদের ১০০ বছরের অধিক সময় ধরে নাগরিকদের দোরগোড়ায় নথিপত্র, নগদ টাকা এবং পার্সেল সরবরাহের অভিজ্ঞতা রয়েছে যা কিনা বাংলাদেশের মানুষদের কাছে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য।
‘নগদ’ সেবার মাধ্যমে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ডাক বিভাগের গুনগত মানের ধারাবাহিকতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।