বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ দিচ্ছে : কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিলেও ‘স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী’ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে একথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল তার এলাকায় যেখানে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের চাপের মুখে তিনি কতকাল দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারবেন সেটাও তো ভেবে দেখতে হবে। স্ট্রাটেজিক কারণে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরবর্তিত হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপিকে ঘুষ দেয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের প্রার্থীদের টাকা দিতে পারি না। বিএনপিকে টাকা দেবো কোন দুঃখে। নির্বাচনে অর্থ দেয়ার জন্য তো আমাদের ব্রাইব করার দরকার নেই। সারা দেশে গণজাগরণ, আমরা সারা দেশে বেশিরভাগ আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে যাচ্ছি। সে অবস্থায় আমরা অন্যকে কেন ঘুষ দিতে যাব? এর কোনো দরকার আছে? এটা অপ্রয়োজনীয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দেব। এখানে শুধুমাত্র তৃণমূল থেকে তিনজনের নাম চেয়েছি। এক থেকে তিন জনের বেশি নয়, আবার একজন বা দু’জন বা তিন জনের নামও কেউ দিতে পারেন।,মনোনয়নের বিষয়ে এখানে আমরা দেখব যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর রয়েছে কিনা। সেই সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা করে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে কিনা, সেটাও দেখা হবে। যদি কোথাও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে সেখানে আমরা সার্ভে রিপোর্ট ফলো করব । কাজেই মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে সবকিছু পরখ করে দেখা হবে।

তিনি বলেন, এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের পর নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে যে, এ ব্যাপারে আইনগত বিষয় রয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও আইনগত দিক দেখে আমাদের মনোনয়ন দিতে হবে- নির্বাচন কমিশন থেকে এই খবর জানার পর আমি সিইসি এবং সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি । তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সে জন্য আমরা আইনগত দিক বিবেচনা করে মনোনয়ন দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনোনয়ন ফরম কেনা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। যে কোনো নেতা-কর্মী মনোনয়ন ফরম কিনতে পারে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যখন সরকারে ছিলাম না তখন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের অনেকেই নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তারাইতো আওয়ামী লীগকে ধরে রেখেছে। সুতরাং তাদের মনোনয়ন চাইতে কোনো দোষ নেই।

ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মনসুরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি আওয়ামী লীগে ফিরছেন কি না এটা তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা তার নিজস্ব চিন্তা-ধারণা, এটা নিয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আর এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আমি দিতে যাব কেন? তারও বিবেক আছে, রাজনীতি করে। কাজেই সে তার বিবেক থেকে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা কেন তাকে ইনফ্লুয়েন্স করবো।

এরআগে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাচনের জন্য চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয় দিনের মতো মনোনয়ন বিক্রি করে আওয়ামী লীগ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে