মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদেরও মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে উল্লেখ করে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক কমিশনের (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও অধিকার দিয়ে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, এতোগুলো মানুষকে আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহমর্মিতার পরিচয় দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কুতুপালংয়ের ক্যাম্প-৫ এ এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেন, বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে, যা তারা নিজের দেশ মিয়ানমারে পায়নি।
এ সময় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শিক্ষার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কুতুপালংয়ের ক্যাম্প-৪ এ অবস্থান করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এরপর তিনি ক্যাম্প-৫ এ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রেস ব্রিফিং করেন।
হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ২০১২ সালে থেকে ইউএনএইচসিআর-এর বিশেষ দূত হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে রোহিঙ্গা শিশুদের দেখতে এসেছিলেন জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী, উগ্রপন্থি রাখাইন ও বিজিপির নির্যাতন , গণগ্রেফতার, গণধর্ষন ও গণহত্যার শিকার হয়ে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয় প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা। যাদের বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়েছে ৩০টি ক্যাম্পে।