ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে অমর একুশে গ্রন্থমেলার পর্দা উঠার পর প্রথম ৬ দিনে শুধু বাংলা একাডেমির ২৫ লাখ ৩১ হাজার টাকার বই বিক্রি হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ।
জালাল আহমেদ বলেন, গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৬৭১টি বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ৬ দিনে ২৫ লাখ ৩১ হাজার টাকার বাংলা একাডেমির বই বিক্রি হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় প্রথম ৬ দিনের চেয়ে সাত লাখ টাকা বেশি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মেলায় পাঠকদের আগমন ব্যাপক ইতিবাচক। আশা করা যায়, নতুন নতুন এবং মানসম্পন্ন বই সংগ্রহ করতে পাঠকদের উপস্থিত সামনের দিনে আরও বাড়তে থাকবে। আমাদের কাছে থাকা তথ্যমতে, অন্যান্য প্রকাশনীও ইতোমধ্যে ভালো অঙ্কের টাকার বই বিক্রি করেছে।
কিছু সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম মেলার স্থান তেমনভাবে পরিপাটি করে সাজাতে পারিনি। আমাদেরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি একসঙ্গে সম্পন্ন করতে হয়, যে কারণে কিছু কিছু ত্রুটি থেকে যায়। এমন সমস্যা সমাধান সম্ভব যদি একটি নির্দিষ্ট স্থানে বইমেলার জন্য জায়গা বরাদ্দ থাকে।
তিনি বলেন, যদি বাংলা একাডেমিকে একটি ‘ফেয়ার মাঠ’ বরাদ্দ দেয়া হতো তাহলে আমরা সারা বছর ধরে আস্তে আস্তে মেলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারতাম। ওই ফেয়ার মাঠে যে শুধুমাত্র বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে তাই নয়, বাণিজ্যমেলা ছাড়া সাংস্কৃতিক এবং বাংলাদেশের চেতনার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেলায় এবার প্রথম ছয়দিনে বই এসেছে ৬৭১টি। এর মধ্যে গল্প ১০৭টি, উপন্যাস ১২২টি, প্রবন্ধ ৪৫টি, কবিতা ১৬১টি, গবেষণা ১২টি, ছড়া ২৩টি, শিশুতোষ ১৬টি, জীবনী ১৯টি, রচনাবলী ৪টি, মুক্তিযুদ্ধ ২৭টি, নাটক ৮টি, বিজ্ঞান ১৩টি, ভ্রমণ ১৫টি, ইতিহাস ১৩টি, রাজনীতি ৫টি, স্বাস্থ্য বিষয়ক ৫টি, রম্য/ধাঁধা ৬টি, ধর্মীয় ১টি, অনুবাদ ৩টি, সায়েন্স ফিকশন ১১টি এবং অন্যান্য ৫৫টি।