হেফাজতের আমির ও আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী পঞ্চগড়ে ইজতেমার নামে কাদিয়ানীদের আস্ফালন বন্ধ করতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাটহাজারী মাদ্রাসার মুখপাত্র সরওয়ার কামাল প্রেরিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফি বলেন, খতমে নবুওয়াতের অস্বীকারকারী ব্রিটিশের পা চাটা গোলাম, মুসলিম উম্মাহর জঘন্য শত্রু, গোলাম আহমদ কাদিয়ানী, সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (স.)-এর মাধ্যমে নবুওয়াতের ধারাবাহিকতা সমাপ্ত হওয়ার বিষয়কে অস্বীকার করে। ব্রিটিশদের দালালি এবং মুসলমানদের ধোঁকা দেয়ার নিমিত্তে মিথ্যা নবুওয়াত দাবি করেছিল। ভারত সাম্রাজ্যকে যেসব ব্রিটিশ বেনিয়ারা দীর্ঘ ১৯০ বছর গ্রাস করেছিল। তাদের তল্পিবাহক হয়ে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ভণ্ড নবুওয়াতের দাবিদার সেজে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত হয়।
কাদিয়ানী ইজমের উৎস পাকিস্তানে এমনটা দাবি করে তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর অনুসারীদের ‘ইসলামের গণ্ডিবহির্ভূত অমুসলিম সংখ্যালঘু’ ঘোষণা করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশে কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করার জোর দাবি জানিয়ে হেফাজত আমির আরও বলেন, কাদিয়ানীরা অমুসলিম হওয়া সত্ত্বেও ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ নামে নিজেদের মুসলমান বলে বিশ্বনবীর খতমে নবুয়তকে পদদলিত করে যাচ্ছে। এই মাসের শেষের দিকে পঞ্চগড়ে তারা ইজতেমা করার যে ‘দুঃসাহস’ করেছে, তা অচিরেই বন্ধ করতে হবে। নইলে খতমে নবুওয়াত আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মপোষণ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
তাদের এই নগ্ন আস্ফালন বন্ধ করাসহ কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় লক্ষ কোটি তৌহিদী জনতার ঈমানি চেতনায় যে কোনো প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন আল্লামা শফী।