নড়িয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে দুই পীরের ভক্তদের সংঘর্ষ, আহত ৩৫

সারাদেশ ডেস্ক

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দরবারে দুই পীরের ভক্তদের মাঝে দফায় দফায় সংষর্ষ হয়েছে।

universel cardiac hospital

এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে। সংষর্ষে পুলিশসহ দুই পক্ষের অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিক, নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।

আহতরা হলেন- নড়িয়া থানার পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আবু বকর মাতব্বর, শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সের এএসআই রবিউল, কনস্টেবল ইয়াকুব, ইমাম, আনিছ, সিফাত, মোক্তার, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জারিকারক মনোজ বিশ্বাস, আক্কাস, পরান চন্দ্র দাস, মমিন, নজরুল ইসলাম, দরবারের ভক্ত মাহবুব, বশির, নয়ন।

তাৎক্ষণিকভাবে আহত অন্যদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া পুলিশের রাবার বুলেটে আহত হন- আওলাদ, জাকির হোসেন, মাসুম, ওসমান গনি, খোরশেদ, নুরু, শফিক, নুরুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সুরেশ্বর দরবারের গদিনশীন শাহ নুরে কামালের সঙ্গে অপর গদিনশীন শাহ নুরে আখতার হোসাইন চুন্নু মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

এ ঘটনায় আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। দুপুরে জমির দখল বুঝিয়ে দেয়ার জন্য শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে পুলিশের একটি দল নিয়ে জারিকারক সুরেশ্বর দরবার শরীফে যান। তখন চুন্নু মিয়ার পক্ষের ভক্তরা শাহ কামালের আস্তানার সামনের পাকা সড়ক সাবল দিয়ে উঠাতে থাকে। এতে শাহ কামালের ভক্তরা বাধা দিলে দুই পক্ষের লোকজনের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়।

বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে পুলিশ এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কর্মরত জারিকারকসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গদিনশীন শাহ নুরে কামাল বলেন, নড়িয়া-সুরেশ্বর সড়কের ইশাপাশা কালভার্ট থেকে সুরেশ্বর দরবার শরিফের পশ্চিম ও উত্তর দিকে সাধারণ লোকজনের চলার জন্য এলজিইডি ২০১৩-১৪ সালে একটি পাকা সড়ক তৈরি করে। সেই সড়কে আমার ও চুন্নুর জমি রয়েছে। দুপুরে চুন্নু ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে সড়কটির পিচসহ খোয়া তুলতে থাকে, তখন আমার লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে।

অপর গদিনশীন শাহ নুরে আখতার হোসাইন চুন্নু মিয়া বলেন, ঘটনাটি আমাদের পারিবারিক বিষয়।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বলেন, শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সুরেশ্বর দরবারের কামাল ও চুন্নুর জমির দখল বুঝিয়ে দেয়ার জন্য গেলে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংষর্ষ হয়। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ আনতে ২৪ রাউন্ড রাবার গুলি ছুঁড়ে। সংঘর্ষে আদালতের জারিকারক ও পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে