সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় রাখাইন বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের কারণে আবারো বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু করেছে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের সংখ্যালঘু বাসিন্দারা । বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড এবং অ্যাক্টিভিস্টদের বরাত দিয়ে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এই বিষয়ে বান্দরবান জেলার বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের কমান্ডার কর্নেল জহিরুল হক খান জানান, ৩৮টি পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে যে তারা সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার হামলা থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং আরাকান আর্মির মধ্যকার সংঘর্ষের কারণে প্রায় ৫ হাজার মানুষ রাখাইন এবং চিন প্রদেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। এমন পরিস্থিতির জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করছে মিয়ানমার সরকার। এ সব বিদ্রোহীরা স্বায়ত্বশাসনের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে রাখাইন প্রধানত একটি বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি প্রদেশ। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের পর এই প্রদেশ থেকেই প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশের আশ্রয় নেয়।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা এনজিও কর্মী উইন থিয়েন বলেন যে তিনি অনেক শরণার্থীদের কাছে গেছেন যারা খুমি,চো এবং রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর। বন্দুকযুদ্ধ এবং হেলিকপ্টার দেখে তারা চিন প্রদেশের দুটি গ্রাম থেকে পালিয়ে গত রোববার এবং সোমবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে । এদের মধ্যেই অনেকেই জানিয়েছেন যে তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে মালামাল লুট এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিতে দেখেছেন।
উইন থিয়েন আরো জানান, নতুন করে আসা শরণার্থীদের অনেক শিশুই গুরুতর অসুস্থ এবং তাদের চিকিৎসা সেবার কোন সুযোগ পায়নি। এই শীতেও সেখানে কোন কম্বল নেই ।