গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আলাপ করতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদের আয়োজনে ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির’ দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনি আর একটা সংলাপ ডাকেন। পরিষ্কার করে বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে কোনো প্রতিবন্ধকতা করবেন না। পরিষ্কার করে বলে দেন, এদিকে কোনো নাক গলাবেন না। বিচারকে বিচারের মতো চলতে দেন। তারপর দেখি খালেদা জিয়ার মুক্তি হয় কিনা।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, শাহবাগ থানা কৃষকদলের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
জাফরুল্লাহ বলেন, দেশের ১৮০০ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভারতে ট্রেনিং নেবেন। কী নেবেন? যে দেশে দুধের চেয়ে গোমূত্রের দাম বেশি, সে দেশ থেকে কী শিখবে? তারা তো আমার দেশের গণতন্ত্র মুক্তির কথা বলে না। আসলে দেশের গণতন্ত্রকে আমাদেরই ফিরিয়ে আনতে হবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি বিএনপির নেতাদের বারবার বলে আসছি, শুক্রবারও প্রস্তাব করেছি, আপনাদের রাস্তায় থাকতে হবে। দেশে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট ও প্রেসক্লাবে হাতি ঘোড়া মারলে হবে না। আমি খুশি হতাম বিএনপির এক হাজার নারী নেত্রী যদি আজ দুই ঘণ্টার জন্য রাস্তায় বসে থাকতেন। তারপর ৫০টা ট্রাক নিয়ে সারা ঢাকা শহরে ঘুরতেন। আর একটা স্লোগান দিতেন ‘গণতন্ত্র চাই’, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’। এটা করতে পারলেই দেশে সুশাসন আসবে আর সুশাসন ছাড়া বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে না।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি আপনার দলের মিটিং অবশ্যই করবেন। তবে আপনাদের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে করবেন। ভুলভ্রান্তি সবারই হয়। তবে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ আপনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আপনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীদের ধৈর্য ধরতে হয়। তাড়াহুড়া করবেন না। আপনার দিকে অনেকেই চেয়ে আছে। আপনার সঠিক সিদ্ধান্তে আন্দোলন গড়ে উঠবে। আর আন্দোলন গড়ে না উঠলে সহজে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের আকাশে অশনিসংকেত দেখা দিয়েছে। তার একটি হলো ১২ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের ভাসানচরে রেখে জঙ্গি হওয়া বন্ধ করতে পারবেন না। বিচার, হত্যাকাণ্ড করে জঙ্গি দমন করতে পারবেন না। বিচারের নামে অবিচার করে জঙ্গি দমন করতে পারবেন না। তাই বিচারকদের বলছি, আপনাদেরও একদিন জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। সেই সময় আর বেশি দূরে নেই।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রশাসনকে দিয়ে যেভাবে ভোট ডাকাতি করিয়েছেন, কিছু দিন পরে যখন ডিসি বনাম এসপি লেগে যাবে, তখন সামলাবেন কেমনে? তাই বলছি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।