ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে মহাকাশ ভ্রমণের ঘোষণা দিয়েছেন।
জুলাইয়ের মধ্যে তিনি তার নিজস্ব ভার্জিন গ্যালাক্টিকের নভোযানে চড়ে মহাশূন্যে ওড়ার পরিকল্পনা করছেন বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান।
ভার্জিন গ্রুপের প্রধান কর্মকর্তা বলেন, আমার ইচ্ছা আছে চাঁদে অবতরণের ৫০তম বর্ষপূর্তিতে মহাশূন্যে যাওয়ার। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।
ওয়াশিংটনের এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাক্টিককে সম্মাননা দেয়ার জন্য আয়োজিত সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের অংশ নেয়ার সময় তিনি এই ঘোষণা দেন।
আমেরিকার অ্যাপোলো ১১ নভোযান জুলাই ২০, ১৯৬৯-এ চাঁদে অবতরণ করে।
ভার্জিন গ্যালাক্টিকসহ দু’টি মাত্র প্রতিষ্ঠান খুব স্বল্প সময়ের জন্য হলেও মহাকাশে পর্যটক পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। অন্য প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে ব্লু অরিজিন।
পৃথিবীর কক্ষপথের নিচে বা ‘সাবঅর্বিটাল’ ফ্লাইটে হাজার হাজার মানুষকে স্বল্প সময়ের জন্য ভ্রমণে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে কোম্পানি দু’টি। পৃথিবীর কক্ষপথে না পৌঁছানোয় এরা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করতে পারবে না।
জাপানের এক ধনকুবেরকে ২০২৩ সালের মধ্যে চাঁদে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্পেস এক্স। ভার্জিন গ্যালাক্টিকের সফরগুলিতে ওই অভিযানের চেয়ে অনেক কম খরচ হবে।
ডিসেম্বরে ভার্জিন গ্যালাক্টিক প্রথমবারের মতো পৃথিবীর ৫০ মাইল (৮০ কিলোমিটার) উপর দিয়ে উড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় এটা মহাকাশের কিনারা। তবে আন্তর্জাতিক মহল মনে করে মহাকাশের প্রান্ত রয়েছে পৃথিবীর ১০০ কিলোমিটার উপরে।
ভার্জিন গ্যালাক্টিকের নভোযান ‘স্পেসশিপ-টু’ যাত্রা শুরু করে আরেকটি উড়োজাহাজ থেকে। বিমান থেকে স্পেসশিপ-টুকে বোমার মতো ফেলে দেয়ার পর সেটি ভাসতে শুরু করে এবং একসময় এমন উচ্চতায় পৌঁছায় যেখান থেকে পৃথিবীর গোলাকৃতি অবলোকন করা যায়।
নভোযানটি অবতরণ করে স্বাভাবিকভাবেই, ক্যালিফোর্নিয়ার মোহাভে এয়ার অ্যান্ড স্পেস পয়েন্টে।
দু’জন পাইলটসহ ছয়জন যাত্রী বহন করতে পারে স্পেসশিপ-টু।
ব্র্যানসন আগেও মহাকাশ যাত্রার তারিখ ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু সেগুলো কার্যকর হয়নি। তবে এবার তিনি বলছেন জুলাইয়ের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন হবে।
তবে তিনি এ-ও বলেন, আমি আমার দলের কাছ থেকে শুনতে চাইছি যে তারা শতভাগ সন্তুষ্ট। আমি ওদেরকে কোনো চাপ দিতে চাই না।
তিনি মনে করেন এবছরের শেষ নাগাদ তার স্পেসশিপ-টু সাধারণ যাত্রীদের নিয়ে মহাকাশে যেতে তৈরি থাকবে।