‘হুমকি দিয়ে কর্ণফুলীর উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা যাবে না’

ডেস্ক রিপোর্ট

ফাইল ছবি

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, হুমকি দিয়ে কর্ণফুলীর তীরে চলমান অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা যাবে না। অবৈধভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ না করার হুমকি দিয়ে কেউ পার পাবে না। হুমকি দিলে চলমান উচ্ছেদের গতি দ্বিগুণ হবে।

আজ শনিবার বিকেলে কর্ণফুলী নদীর মাঝির ঘাট এলাকার দু’পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে গিয়ে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী আগামী ৫ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করারও নির্দেশ দেন।

এ সময় পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম, সদর সার্কেলের কানুনগো প্রিতরণ চাকমাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছিলেন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, যারা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে তারা বোকা। তারা মনে করেছে এটা আগের সেই বাংলাদেশ। বর্তমান বাংলাদেশ আগের নয়। এটি একুশ শতকের বাংলাদেশ। এটা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখন কেউ আমাদের হুমকি দেবে, আর আমরা সেটা আমলে নেবো- এমন চিন্তা যারা করে, তারা বোকার রাজ্যে বাস করছে।

তিনি বলেন, অনেকে মনে করছেন কর্ণফুলীর উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি কেবল নামে; একটি পর্যায়ে অভিযান বন্ধ হয়ে যাবে। এই ধারণা পুরোপুরি ভুল। কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে আমরা যে পরিকল্পনা নিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করা হবে। কাজ শুরু যখন করেছি, শেষ করেই ছাড়ব।

অবৈধ স্থাপনা রাখা-না রাখা নিয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ একটি স্থাপনাও রাখার পক্ষে নই আমরা। তবে অবৈধ স্থাপনার মধ্যে একটা কোল্ড স্টোরেজ আছে। যেখানে ব্যবসায়ীরা হাজার হাজার টন মাছ মজুদ রাখেন। তাদের ক্ষতি করতে চাই না আমরা। কারণ এতে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

মন্ত্রী আরও বলেন, শুধু চট্টগ্রামের নয়; কর্ণফুলী আমাদের জাতীয় সম্পদ। আমরা রূপকল্প-২০২১ কিংবা রূপকল্প-২০৪১ এর কথা বলছি। তবে এসব রূপকল্প কেবল মুখে মুখে বললে হবে না; কাজের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। কর্ণফুলীসহ দেশের সব নদীকে দখলমুক্ত রাখাও রূপকল্প বাস্তবায়নের একটি বড় কাজ।

উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া তাহমিলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম ধাপের উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়, যা চলে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রথম ধাপের উচ্ছেদ অভিযানে ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ১০ কিলোমিটারেরও বেশি বেদখল ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান পরিদর্শনে এসে ভূমিমন্ত্রী আগামী ৫ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় দফার অভিযান শুরু করতে বলেছেন। আশা করছি এ সময়ের মধ্যেই আমরা অভিযান শুরু করতে পারব। বর্তমানে প্রথম দফায় অভিযান পরিচালনা করা অংশ পরিস্কার করার কার্যক্রম চলমান আছে। উচ্ছেদ অভিযান শেষ হওয়া স্থানগুলো পরিস্কারের পাশাপাশি সেখানে পিলার দেওয়াসহ আরও নানা কার্যক্রম শেষ করতে কয়েকদিন সময় লাগবে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে