সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৩৩ রানের লক্ষ্যে দুই ওপেনারে ভর করে নির্বিঘ্নে সূচনা করেছে নিউজিল্যান্ড। ২০.৫ ওভারেই শত রান পার করেছে ওপেনিং জুটি। মিরাজ ১০৩ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙলে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১ উইকেটে ২৩ ওভারে ১০৩ রান।
নেপিয়ারে স্বাগতিকদের সাবধানি শুরুর সঙ্গে আক্রমাণাত্মক ব্যাটিংয়ের ঝাঁজটাও দেখা যায় দুই ওপেনারের মাঝে। সপ্তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন হেনরি নিকোলস। অবশ্য হাফসেঞ্চুরি তুলেই বোল্ড হয়েছেন মিরাজের বলে। ২৩তম ওভারে মিরাজের বল ঠিকমতো রুখতে না পারায় অদ্ভূত ভাবেই তা আঘাত হানে স্টাম্পে। ৫৩ রানে ফেরেন তিনি। অপর দিকে মার্টিন গাপটিল তুলে নিয়েছেন তার ৩৫তম ওয়ানডে ফিফটি।
এর আগে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা যেখানে ব্যর্থ ছিলেন সেখানে মোহাম্মদ মিঠুনের ৬২ রানে মান বাঁচায় স্বাগতিকরা। জবাবে বাংলাদেশের বোলিংয়ে দেখে শুনে খেলছেন দুই ওপেনার। জুটি গড়ছেন প্রথম দশ ওভারে। ১৩তম ওভারে অবশ্য ৫০ রান পার করে ফেলা জুটি ভাঙার সুযোগ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। সাইফউদ্দিনের ওভারের প্রথম বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন মার্টিন গাপটিল। আক্রমাণাত্মক এই ওপেনার দেরি করে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে পৌঁছালেও সাইফের দুর্বল থ্রো স্টাম্প ভাঙতে পারেনি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমেই কোনঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ৪২ রান তুলতে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। এরপর মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ-সাব্বির-মিরাজ-সাইফউদ্দিন-মাশরাফির সঙ্গে ছোট ছোট বেশ কিছু জুটি গড়ে দলের স্কোরবোর্ডকে সমৃদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় জুটিটি আসে সাইফউদ্দিনের সঙ্গে। অষ্টম উইকেটে দুইজন মিলে গড়েন ৮৪ রানের রেকর্ড জুটি। এর আগে অষ্টম উইকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সেরা জুটি ছিল খালেদ মাসুদ ও মোহাম্মদ রফিক। ২০০৩ বিশ্বকাপে কিম্বার্লিতে অপরাজিত ৭০ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা।
দলীয় ২২৯ রানে মিঠুন ফিরে গেলে আর বেশি বড় হয়নি দলীয় স্কোর।