আজ বসন্তের প্রথমদিন। অবশ্য গ্রন্থমেলায় ফাগুন হাওয়া লেগেছে দিন কয়েক আগেই। দখিনা হাওয়ায় প্রাণের মেলা দোল খাচ্ছিল গেল সপ্তাহ থেকে। তবুও বসন্তবরণের অপেক্ষার অন্ত ছিল না! কখন খুলবে দ্বার, কখন মিলবে ফাগুনের উদাস হাওয়ায় নতুন বইয়ের গন্ধ! প্রকৃতির প্রেমে মুগ্ধ হয়ে অমর একুশে গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ ফাগুনময় করে তুলেছিল গ্রন্থপ্রেমীরা।
বসন্তবরণের দিন বইয়ের মানুষেরা যা চেয়েছিল, তারই রূপ ফলেছিল গ্রন্থমেলায়। প্রেমের কুঞ্জবন, বইয়ের পাঠশালা, হলদে ফুলের বিশাল বাগান! সকল অভিধায় মিলল বসন্তবরণের বইমেলা আঙ্গিনায় নতুন নতুন রূপ। প্রকৃতি প্রেমে ডুব দিয়েছিল প্রথম প্রহরে আর জাগনা পেল বইয়ের বাজারে এসে। আর তাতে যেন বইয়ের বাজার রূপ নিল প্রেমবাজারে।
ফাগুন, বইমেলা আর উদাস মনের মিতালিতে দিনভর শুধু প্রেমের খেলাই চলল এ পাড়ায়। এদিন বই বিক্রিও হলো ধুম।
এবারে শুরু থেকেই জমে ওঠেছে মেলা। প্রিয় লেখকদের বই কাটতিও হলো বেশ। তবুও মধ্য সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন আয়োজকরা। বিশেষ করে বসন্তবরণ আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের মধ্যদিয়েই পূর্ণতা আসে মেলায়। এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি।
শাহবাগ এলাকায় উৎসব লেগেছিল সকাল থেকেই। দুপুরের পর দীর্ঘ লাইন। আর সন্ধ্যায় তো তিল ধরার ঠাঁই-ই থাকল না। মেলার আবহ মিলল টিএসসি, শাহবাগ, শহীদ মিনার আর হাইকোর্টের দক্ষিণ গেটেও। এ যেন রীতিমতো জনসমুদ্র। তাতে বাসন্তী রংয়ের আধিক্য। তরুণী, মধ্যবয়সী নারীরা মজেছিল হলদে প্রেমে। আর বাহারি ফুল, ফুলের মালা, ফুলের চাকতি গলায় গলায় শোভা পাচ্ছিল ।