কেয়ামত পর্যন্ত এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায় এমন অভিযোগ করে রিজভী আহমেদ বলেন, ২৯ ডিসেম্বর নিশীথ রাতে ভোট ডাকাতি করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী জোট ক্ষমতা দখলের পর তাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা বা আত্মগ্লানি দেখা যাচ্ছে না। বরং তাদের বেপরোয়াভাব সব সীমা লঙ্ঘন করেছে। তারা একের পর এক নির্লজ্জ লাগামহীন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে রোজ কেয়ামত পর্যন্ত মিড নাইট সরকার ক্ষমতায় থাকতে চায়।
আজ বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতার দম্ভে সরকার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, ক্ষমতার দম্ভে এই অবৈধ সরকার হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করার পর সরকার এখন কি করবে, তা দিশা পাচ্ছে না।
বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী-সমর্থদের কারাগারে ভরছে। কারাগারগুলো ধারণ ক্ষমতার ৪-৫ গুন বেশী বন্দীতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। হাজার হাজার মামলা। লাখ লাখ আসামী। কোনো বাছ-বিচার নাই।
বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া গায়েবী মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, সরকারের সমালোচনা করলেই সে নাশকতার গায়েবী মামলার আসামী। সাধারণ মানুষের এখন নাভিশ্বাস দশা।
খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখে যন্ত্রণা দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক জনগোষ্ঠীর প্রাণশক্তি দেশনেত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অন্ধকার কারাগারে আটকে রেখে নির্মম মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা দেয়া হচ্ছে। গতকালও (মঙ্গলবার) বেগম জিয়াকে আদালতে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়।তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দেয়ার জন্যই আদালতে বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ রিজভীর।
খালেদা জিযার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তাঁর চিকিৎসা না দিয়ে প্রাণনাশের চেষ্টা করছেন প্রতিহিংসা পরায়ন সরকার।আমরা এর নিন্দা জানাচ্ছি।সেই সঙ্গে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে সুচিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।
জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত চলছে নানাভাবে।