বাংলাদেশের বিপক্ষে হেসেখেলে জিতল কিউইরা। নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটের দাপুটে জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল তারা।
২৩৩ রানের সাধারণ লক্ষ্য পার করতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি নিউজিল্যান্ডের। তবে তাদের শুরুটা ছিলো সাবধানি। দুই ওপেনারের নির্বিঘ্ন সূচনায় ২০.৫ ওভারে উদ্বোধনী জুটি পার করে শত রান। তবে ২৩তম ওভারে জুটি ভেঙে প্রতিপক্ষের ছন্দ পতন ঘটিয়েছেন মিরাজ।
তার আগে সপ্তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন হেনরি নিকোলস। হাফসেঞ্চুরি তুলেই বোল্ড হয়েছেন মিরাজের বলে। ২৩তম ওভারে মিরাজের বল ঠিকমতো রুখতে না পারায় অদ্ভূত ভাবে তা আঘাত হানে স্টাম্পে। ৫৩ রানে ফেরেন তিনি। অপর দিকে মার্টিন গাপটিল তুলে নিয়েছেন ১৫তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। নতুন নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন থিতু হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ১১ রান তুলে। তাকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন কিউই অধিনায়ক। যদিও শুরুতে অনফিল্ড আম্পায়ার নট আউট দিয়েছিলেন। রিভিউ নিলে তাতে সফল হয় বাংলাদেশ। পরে অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটিতে কোনও বিপদ ছাড়াই ৪৪.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে নিউজিল্যান্ড। ১১৬ বলে ১১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন গাপটিল। তাতে ছিলো ৮টি চার ও ৪টি ছয়। অপর প্রান্তে রস টেলর ৪৯ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ইনিংসে ছিলো ৬টি চার। ম্যাচসেরা হয়েছেন সেঞ্চুরি হাঁকানো গাপটিল।
১৩তম ওভারে অবশ্য ৫০ রান পার করে ফেলা জুটি ভাঙার সুযোগ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। সাইফউদ্দিনের ওভারের প্রথম বলে দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন মার্টিন গাপটিল। আক্রমাণাত্মক এই ওপেনার দেরি করে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে পৌঁছালেও সাইফের দুর্বল থ্রো স্টাম্প ভাঙতে পারেনি।
টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশ বিপদের মুখে পড়ে মূলত কিউইদের শক্তিশালী পেস আক্রমণে। এমন পেস আক্রমণকে তুচ্ছ জ্ঞান করার ফলটা দেখতে পেয়েছে সফরকারীরা। ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি ও লকি ফার্গুসন ত্রয়ী ১০ উইকেটের মধ্যে নেন ৭ উইকেট। এই পেসারদের আগ্রাসী বোলিংয়ে উল্টো বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনে লিটন দাসরা। ৪২ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ মূলত বিপদ সামলায় মিঠুনের ৬২ রানের দৃঢ়চেতা ইনিংসে ভর করে। অপর প্রান্ত খুব নড়বড়ে থাকায় ১৩১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডুবতে বসেছিলো সফরকারীরা। তাদের সেই লজ্জা থেকে উদ্ধার করেছেন মিঠুন। দলীয় ২২৯ রান পর্যন্ত আগলে ছিলেন এক প্রান্ত। ৯০ বলের ইনিংসে মাত্র ৫ চারের সহায়তায় করা ৬২ রানের ইনিংসই প্রমাণ করে তার মানসিকতা। তার বিদায়ের পর ৪৮.৫ ওভারে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ২৩২ রানে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪০ রানে তিনটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও মিচেল স্যান্টনার। দুটি করে নেন লকি ফার্গুসন ও ম্যাট হেনরি।