বিএনপির প্রার্থীরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপির অভিযোগ এনে বিজয়ীদের চ্যালেঞ্জ করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করছেন। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন মামলা করেছেন। অন্য প্রার্থীদের মামলার প্রস্তুতিও চূড়ান্ত।
মঙ্গল ও বুধবার দুই দিনে বেশ কয়েকজনের মামলা করার খবর জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবারও বেশ কয়েকজন মামলা করবেন বলে জানা গেছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মামলা করেন ঝিনাইদহ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ফিরোজ (মামলা নং-৫/১৯)। একই দিনে টাঙ্গাইল-৭ আসনের আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীও (মামলা নং-৬/১৯) মামলা দায়ের করেন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে। এদিন আরও কয়েকজন প্রার্থী একই অভিযোগে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার একই বিষয়ে মামলা করেছেন অনেকে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, বরিশাল-১ আসনের জহির উদ্দিন স্বপন (মামলা নং-০৯/১৯), গাজীপুর-৪ আসনের শাহ রিয়াজুল হান্নান (মামলা নং-১০/১৯), মৌলভীবাজার -৩ আসনের নাসের রহমান (মামলা নং-১১/১৯), মুন্সীগঞ্জের আব্দুল হাই (মামলা নং-১২/১৯) ও ভোলা -২ আসনের হাফিজ ইব্রাহিম (মামলা নং-১৩/১৯)।
গত দুই দিনের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও অনেক প্রার্থীর মামলা করার কথা রয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে।
তারা হলেন, মানিকগঞ্জ-২ আসনের মইনুল ইসলাম খান শান্ত, নরসিংদী-৫ আসনের ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নজরুল ইসলাম আজাদ, ঢাকা-৫ আসনের নবীউল্লাহ নবী এবং ঢাকা-২ আসনের ইরফান ইবনে আমান অমি।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের নজিরবিহীন অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনেছে বিএনপি। ভোটের আগের রাতেই বেশির ভাগ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয় বলে দাবি দলটির।
এবারের নির্বাচনে বিএনপি জোট মাত্র আটটি আসনে বিজয়ী হয়েছে। এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে বিজয়ী সদস্যদের শপথ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
ভোটের পরপর নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করার কথা থাকলেও সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বিএনপি। তবে পরবর্তী সময়ে তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত বদলে আবারও মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন প্রার্থীরা।