প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের কাছে রীতিমতো উড়ে গেছে টাইগাররা। তবে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতে সিরিজে ফিরতে মরিয়া তারা। এ লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাদশে আসতে পারে একটি পরিবর্তন।
নেপিয়ারে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে ১-০তে পিছিয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ক্রাইস্টচার্চে মাঠে নামবে সফরকারীরা। সিরিজে ফেরার লক্ষ্যে প্রথম ওয়ানডের একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন আসতে পারে। বোলিং বিভাগে শক্তি বাড়াতে ফিরতে পারেন রুবেল হোসেন। এক্ষেত্রে বাইরে চলে যেতে পারেন সাব্বির রহমান। এছাড়া দলে আর কোনো বদল আসার সম্ভাবনা তেমন নেই।
প্রথম ম্যাচে ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটস দাস দুজনই ব্যর্থ হয়েছিলেন। ব্যর্থ হলেও এই দুজনের প্রতি আস্থা রাখছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। ওয়ানডাউনে নেমে দারুণ শুরু করেও ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি সৌম্য সরকার। এই পজিশনে তিনিই থাকছেন।
নিজের প্রিয় পজিশন চারে নেমে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি নির্ভরতার প্রতীক মুশফিকুর রহিম। বাঁচামরার ম্যাচে সেখানে তার ওপরই ভরসা রাখছেন নির্বাচকেরা। সেইসঙ্গে উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন তিনি। পাঁচ নম্বরে আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মোহাম্মদ মিথুন। ফলে ব্যাটিং অর্ডারের মাঝখানে থাকছেন তিনিই।
গেল ম্যাচে ছয় নম্বরে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞতার কারণে সেখানে থাকছেন তিনি। তাকে আরেকবার সাইলেন্ট কিলারের ভূমিকায় দেখতে মুখিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা। সাত নম্বর পজিশনে পরিবর্তন আসতে পারে। আগের ম্যাচে দলের বিপর্যয়ে দারুণ ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আর সাব্বির রহমান হয়েছেন ব্যর্থ।
তাই চাইলে সাব্বিরকে বসিয়ে একাদশে বাড়তি পেসার হিসেবে রুবেল হোসেনকে জায়গা দিতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে মেহেদি হাসান মিরাজ খেলবেন সাত নম্বরে আর সাইফউদ্দিন নামবেন আট নম্বরে। গত ম্যাচে সাতে নামেন সাব্বির, আটে মিরাজ ও নয়ে খেলেন সাইফউদ্দিন। সাব্বির বাদ পড়লে ব্যাটি অর্ডারে মিরাজ-সাইফের উন্নতি হলে নয় নম্বরে নামবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
১০ম ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবেন রুবেল। আবার একাদশ অপরিবর্তিত থাকলে সাইড বেঞ্চ গরম করবেন তিনি। এক্ষেত্রে সাতেই খেলবেন সাব্বির। তখন ব্যাটিং ক্রম হয়ে যাবে আগের মতোই। সবশেষে নামবেন মোস্তাফিজুর রহমান।
যথারীতি স্পিন আক্রমণ সামলাবেন মিরাজ। পার্টটাইমার হিসেবে সঙ্গ দেবেন মাহমুদউল্লাহ ও খেললে সাব্বির। পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দেবেন মাশরাফি। খেললে সহযোদ্ধার সমর্থন দেবেন রুবেল ও মোস্তাফিজ। চতুর্থ পেসার হিসেবে থাকবেন সাইফ। সৌম্য সরকারকেও কাজে লাগাতে পারেন অধিনায়ক।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ:
তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিথুন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেদি হাসান মিরাজ, সাব্বির রহমান/রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক) ও মোস্তাফিজুর রহমান।