সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ২ কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
নিহতরা হলেন- দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী লিয়া বেগম (১৭) ও নুরজাহান মেমোরিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী আয়শা সিদ্দিকা চাঁদনী (১৮)। তারা দুইজন সম্পর্কে চাচাতো বোন।
আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমার বদিকোনা পশ্চিমপাড়া মারকাজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বাসের চালককে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে, দুর্ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বদিকোনা এলাকায় বিক্ষুব্ধ জনতা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ৩০ মিনিট ধরে চলা অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। পরে পুলিশ কর্মকর্তাদের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বিকেল ৪টার দিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়।
প্রতিযোগিতা করে চালিয়ে আসা একটি বাস আরেকটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এ সময় হতাহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে লিয়া বেগম ও আয়শা সিদ্দিকা চাঁদনীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত লিয়া বেগম দক্ষিণ সুরমার মোহাম্মদপুর গ্রামের সৈয়দ মজলিস আলীর মেয়ে। তিনি দক্ষিণ সুরমা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আয়শা একই গ্রামের লিয়াকত হোসেনের মেয়ে। তিনি দক্ষিণ সুরমা নুরজাহান মেমোরিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। নিহত লিয়া ও চাঁদনী একে-অপরের চাচাতো বোন। আহতরা হলেন- অটোরিকশা চালক জুবায়ের আহমদ ও যাত্রী তাসলিমা বেগম।
মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, নিহতদের মরদেহ হাসপাতালে রয়েছে। এ ঘটনায় বাস চালককে আটক করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অটোরিকশা জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করলেও পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয়।