আওয়ামী লীগ একাত্তরের মানবতাবিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে সব সময়কেই উপযুক্ত বলে মনে করে। তবে বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় সরকার এ বিষয়ে এখনই কিছু করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত অতিসম্প্রতি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার রাজ্জাকের পদত্যাগ ও দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা মজিবুর রহমান মঞ্জুর বহিষ্কারের পর জামায়াত নেতাকর্মীদের মধ্যে সংস্কারের দাবি জোরালো হয়। একাত্তরের ভূমিকার জন্য দলটির পক্ষ থেকে জাতির কাছে ক্ষমতা চাওয়ার দাবি ওঠে। সেই সঙ্গে জামায়াত বিলুপ্ত হয়ে নতুন সংগঠন করার বিষয়টিও সামনে চলে আসে। পাশাপাশি জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিও ওঠে।
এ বিষয়ে কাদের বলেন, যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াত নিষিদ্ধ করার জন্য সব সময়ই উপযুক্ত। বিশেষ কোনো সময়ের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু এখানে আদালতের একটি সিদ্ধান্তের ব্যাপার আছে, একটি কনস্টেইন্ট আছে। আদালতের একটি ভারডিক্টের ব্যাপার আছে। সেটিকে তো আমরা উপেক্ষা করতে পারি না।
বিচার বিভাগের প্রতি সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আস্থাশীল জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। বিচার বিভাগ একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই আমি তো সেটিকে ভায়োলেট (অমান্য) করতে পারি না। আদালতের রায়ের আগেই এ বিষয়ে সরকার কিছু করতে পারে না।
এ সময় উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় আওয়ামী লীগ হতাশ নয় বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।