ভারতের তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার টঙ্গীর তুরাগ তীরে শেষ হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে শুরু হওয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লির মাওলানা শামীম আহমদ। মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় লাখো মুসল্লি মোনাজাতে অংশ নেন।
এর আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে হেদায়াতি বয়ান করা করা হয়। সকাল থেকে হেদায়াতি বয়ান করেন ভারতের মাওলানা ইকবাল হাফিজ। বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা সৈয়দ ওসামা ইসলাম।
মোনাজাত উপলক্ষে শীত উপেক্ষা করে তুরাগ তীরে লাখো মানুষের ঢল নামে।
দ্বিতীয় পর্যায়ের আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে মধ্যরাত থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে আব্দুল্লাহপুর এবং মীরের বাজার থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
ইজতেমা ময়দানের বাইরে অবস্থানকারী মুসল্লি ও পথচারীদের মোনাজাতে শরিক হতে ময়দানের বাইরে আশপাশের এলাকায় শতাধিক মাইকে সংযোগ দেয়া হয়।
এবার তাবলিগের বিবদমান দুই পক্ষ- বাংলাদেশের মুরব্বি মাওলানা জোবায়ের আহমেদ ও ভারতের মাওলানা সাদপন্থীরা আলাদাভাবে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন।
ইজতেমার প্রথম দুদিন ছিল মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের। শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয় তাদের ইজতেমা। প্রশাসনের নির্দেশনায় শনিবার রাত ৯টার মধ্যেই জোবায়ের অনুসারীরা মাঠ ত্যাগ করেন। তার পর থেকে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নেয় আইনশৃংখলা বাহিনী।
অন্যদিকে মাওলানা সাদ অনুসারীদের রবিবার সকাল ৭টায় মাঠে প্রবেশের কথা থাকলেও ভোর থেকেই তারা মাঠে প্রবেশ করেন। তাদের জন্যও দুদিন সময় নির্ধারিত থাকলেও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একদিন সময় বাড়িয়ে মঙ্গলবার তাদের জন্য আখেরি মোনাজাতের সময় নির্ধারণ করে প্রশাসন।-ইউএনবি