বুড়িগঙ্গা তীরের অবৈধ স্থাপনা সরানোর অভিযান থেকে হঠাৎ করেই বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম-পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিনকে প্রধান কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে বসিলা আমিন মোমেন হাউজিংয়ে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন তাকে ঘটনাস্থল থেকে ডেকে নেয়া হয়। তিনি ওই অভিযান পরিচালনায় ছিলেন। এদিকে তাকে ডেকে নেয়ায় উচ্ছেদ অভিযানও আপাতত স্থগিত হয়ে পড়ে।
এর আগে সকালে উচ্ছেদ অভিযানে বাধার অভিযোগ আসে। দুপুরে আমিন মোমেন হাউজিংয়ে অভিযানে বাধা দেয়ায় কথিত এক ছাত্রলীগ নেতাকে আটকও করা হয়।
এরইমধ্যে অভিযান চলাকালীন বিকালে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম-পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিনকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
সরজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা বন্দরের যুগ্ম পরিচালককে সরিয়ে নেয়ার পর আমিন মোমেন হাউজিংয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়েছে। ফলে বিআইডব্লিউটিএ আমিন মোমেন হাউজিংয়ের হর্তাকর্তাদের চাপে যুগ্ম পরিচালককে সরিয়ে নিয়েছেন কি-না সে প্রশ্নও উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এ কে এম আরিফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, উচ্ছেদ চলাকালে বিকাল পৌনে তিনটা নাগাদ তাকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে প্রধান কার্যালয়ে যেতে বলা হয়।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নদী তীর দখল করে অবৈধ স্থাপনা কোথায় কোথায় গড়ে তোলা হয়েছে তা দেখতে গেলে সেখানে বাধা প্রদান করে আমিন মোমেন হাউজিংয়ের দুই কর্মী। সরকারি কাজে বাধা প্রদানের কারণে তাদের দুইজনকে আটকের নির্দেশ দেন দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এরপর আজ সকালে হাউজিংটিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গেলে সেখানে পুনরায় বাধা দেয়া হয়। ছাত্রলীগের নামে বাধা প্রদান করে আসাদুজ্জামান তালুকদার লাবু নামের এক যুবক। এ কারণে তাকে আটক করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই যুগ্ম-পরিচালককে অভিযান থেকে সরিয়ে নেয় বিআইডব্লিউটিএ।