অমর একুশে গ্রন্থমেলা : আজ নতুন বই এসেছে ১৩৮টি

সংস্কৃতি ডেস্ক

অমর একুশে গ্রন্থমেলা
ফাইল ছবি

আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বুধবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২০তম দিন। মেলা চলে বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেলায় আজ নতুন বই এসেছে ১৩৮টি।

বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় সওগাত পত্রিকার শতবর্ষ : ফিরে দেখা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. ইসরাইল খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. হাবিব আর রহমান এবং ড. আমিনুর রহমান সুলতান।

universel cardiac hospital

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ।

প্রাবন্ধিক বলেন, সওগাত-যুগের অবসান ঘটেছে বটে, কিন্তু এখনও তার প্রভাব অনুভব করা যায়। সওগাতের প্রগতিবাদী সুচিক্কণ সাহিত্যরুচির অনুসারী পত্রিকা তরুণদের মধ্যে থেকে এখনও বের হচ্ছে। ভুললে চলবেনা আজ বইমেলার লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে তরুণদের যে সাহিত্যিক মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে-তারাতো সওগাত-কল্লোল-কালিকলম-প্রগতি-বুলবুল-চতুরঙ্গ-ছায়াবীথি-গুলিস্তাঁরই প্রতিনিধি। তিনি বলেন, সওগাত বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির ইতিহাসের গতি পরিবর্তন করে দিয়েছে। ‘সওগাত’ তাই কালের দাবি পূরণকারী ইতিহাসের গতি-নিয়ন্ত্রক একটি সাহিত্য-পত্রিকা।

আলোচকবৃন্দ বলেন, সওগাত পত্রিকা বাঙালি মুসলিম সমাজে প্রগতিশীলতার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। এ পত্রিকা নারীস্বাধীনতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে যেমন ভূমিকা রেখেছে তেমনি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির উদার আবহ সৃষ্টিতে এই পত্রিকার ভূমিকা ঐতিহাসিক গুরুত্বের দাবি রাখে।

তারা বলেন, সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন এই পত্রিকার মধ্য দিয়ে কাজী নজরুল ইসলামসহ বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিক প্রতিভা বিকাশ, পরিচর্যা ও লালনে যে ভূমিকা রাখেন তা এক কথায় অবিস্মরণীয়।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, সওগাত পত্রিকার সামাজিক সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা ঐতিহাসিক। সওগাত পত্রিকার শতবর্ষ তাই আমাদের সাংস্কৃতিক পরিসরে বিশেষ তাৎপর্যের দাবি রাখে। বাংলা একাডেমি এ উপলক্ষটিকে স্মরণ করে যেমন জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছে তেমনি আমরা মনে করি আরও বৃহৎ পরিসরে সওগাত পত্রিকা বিষয়ে গভীর গবেষণা প্রয়োজন।

‘লেখক বলছি’ অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন প্রকাশিত গ্রন্থ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন কবি মাসুদুজ্জামান, কবি মুজতবা আহমেদ মোরশেদ, কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা, প্রাবন্ধিক শীলা মোস্তফা এবং কবি প্রত্যয় জসিম।

কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ করেন কবি আসাদ চৌধুরী, নাসির আহমেদ, মারুফুল ইসলাম এবং ওবায়েদ আকাশ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ডালিয়া আহমেদ এবং অলোক বসু।

অমর একুশের কর্মসূচি :

আগামীকাল অমর একুশ ২০১৯/৯ ফাল্গুন ১৪২৫ বৃহস্পতিবার। মেলা চলবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

আগামীকাল মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

রাত ১২:৩০টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর নেতৃত্বে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ভাষা আন্দোলনের অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

সকাল ৭:৩০টায় একুশে গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে রয়েছে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর। সভাপতিত্ব করবেন কবি অসীম সাহা। 

বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে অমর একুশে বক্তৃতা। একুশে বক্তৃতা প্রদান করবেন ভাষাসংগ্রামী জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করবেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, কবিতা-আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে