রাজধানীর চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৭০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭ জনের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার একই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।
এ ছাড়া চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সোনাইমুড়ি উপজেলার ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিহত ও নিখোঁজদের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা গেছে।
চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত সোনাইমুড়ি উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের সাতজন হলেন নাটেশ্বর গ্রামের মিনহাজ বাড়ীর বুলু মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (৬৯), নজরপুর গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে মাহবুবুর রহমান রানা (৩৫) ও রাজু, মির্জানগর গ্রামের মৃত মোমিন উল্লার ছেলে শাহাদাত উল্লাহ হিরা, মির্জা নগরের আবদুর রহিম বিএসসির ছেলে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, একই গ্রামের আবদুল গউসের ছেলে নাছির উদ্দিন এবং কৃষ্ণপুর গ্রামের ছিদ্দিক উল্লাহ (৫০)।
নাটেশ্বর গ্রামের আলী হোসেন চকবাজারের জুতা কারখানায় ৩৫ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। তার ৩ ছেলে ৫ মেয়ে রয়েছে। ৫ মেয়ের মধ্যে ২ জনই অবিবাহিত।
নিহত আলী হোসেনের বড় ছেলে মাহমুদ জানান, তার পিতা আলী হোসেনসহ অপর দগ্ধ লাশ চিহ্নিত করা যায়নি।
আলী হোসেনের মেয়ে তাজমেহের বেগম, সামছুন নাহার বেগম, পূর্ণিমা আক্তার, পুষ্পা আক্তার, নয়ন আক্তারসহ স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। আলী হোসেনের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ তাদের বাড়িতে তার সন্তানদের সান্ত্বনা দেয়া হয়েছে। নিহত শাহাদাত উল্লাহ হিরা চকবাজারে কসমেটিকস ব্যবসা করতেন। তার নববিবাহিতা স্ত্রী লুৎফল বেগম মিথিলা ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
নিহত মাসুদ রানার ৫ বছরের ছেলে রয়েছে ও তার স্ত্রী মুন্নি ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শাহাব উদ্দিনের অপর ছেলে রাজু (২৮) বিয়ের ২৬ দিন পর মারা যায়।
উল্লেখ্য, রাজধানীর চকবাজার এলাকার নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবনে বুধবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট একযোগে কাজ করে বুধবার রাত সোয়া ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। উদ্ধার অভিযান চলে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। এ ঘটনায় অন্তত ৭০ জন নিহত হন।