রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টার আগুনে পুড়ে যাওয়া ৫টি ভবনে লাল-কালো কালিতে লেখা সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।
আজ শুক্রবার সাইনবোর্ডগুলো টাঙান দমকল বাহিনীর কর্মকর্তারা।
সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, ‘ঝুকিপূর্ণ ভবন। ভবনটি ব্যবহার না করার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো’।
চুড়িহাট্টার নন্দ কুমার দত্তের ১৮, ৬৩/২,৬৩/৩, ৬৪, ৬৫ নং ভবনে এ সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ১১ সদস্যের কমিটি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৫ সদস্যের কমিটি ভবনগুলো পরিদর্শন করার পর ভবনগুলোতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেয়।
এসময় ডিএসসিসি তদন্ত কমিটির প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, আগুনে ৫টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি ভবন প্রাথমিকভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী বলে মনে হয়েছে।
কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর বিষয়ে তিনি জানান, আবাসিক এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনের অনুমতি নেই।
যে কোনো মূল্যে অতি দ্রুতই এসব এলাকার কেমিক্যাল গোডাউন সরিয়ে নেয়া হবে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত চুড়িহাট্টা মোড়ের সড়কের রাবিশ সকাল থেকে পরিষ্কার করতে দেখা গেছে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের।
তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের পুর প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী সাংবাদিকদের বলেন, ভবনগুলো কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এক সপ্তাহ পর জানা যাবে, ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী কিনা।
এসময় তিনি ওয়াহেদ ম্যানশনের কথা উল্লেখ করে বলেন, নীচ তলা ও দ্বিতীয় তলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিম ও কলামগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে তিন-চার তলার বিম ও কলাম তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
গত বুধবার রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনসহ দুর্ঘটনার সার্বিক বিষয় তদন্তের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ১১ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
এছাড়া সুরক্ষাসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (অগ্নি অনুবিভাগ) প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও এমন অগ্নিকাণ্ড যেন আর না ঘটে সেই লক্ষ্যে সুপারিশ প্রদানের জন্য এসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।