জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ করে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, সংস্কারের নামে নতুন জামায়াত তৈরি করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নেওয়া অথবা তার বিরোধিতার জন্য ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট নয়, মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনাকেও একইভাবে মানতে হবে। সংস্কারের নামে নতুন জামায়াত তৈরি হবে আরও প্রতারণামূলক ও ভয়ঙ্কর।’
শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত ‘স্বাধীন জনগণতান্ত্রিক পূর্ব বাংলা ঘোষণা’ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মেনন।
ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভার শুরুতে চকবাজার ট্র্যাজেডিতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘তুরস্কের এ কে পার্টি, মিসরের মুসরির শাসন পূর্বের আদর্শে নতুন দল গঠনের প্রমাণ দেয়। সে কারণেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুসরণে একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইকে জরুরি ধরে অগ্রসর হতে হবে।’
সম্প্রতি স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার জন্য জামায়াতের একাংশের ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান প্রসঙ্গে মেনন বলেন, ‘সেটা ভালো কথা, কিন্তু যথেষ্ট নয়, বরং জামায়াতকে নিষিদ্ধকরণের মাধ্যমে তার পুনরুত্থানের সব প্রচেষ্টা প্রতিরোধ করতে হবে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আলোচনা সভার মূল আলোচক হিসেবে অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ‘স্বাধীনতাই যথেষ্ট নয়, স্বাধীনতার পর দেশটা কেমন হবে সেটাও উল্লেখ করা প্রয়োজন ছিল। যেটা সেদিনকার ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ) তার কর্মসূচিতে তুলে ধরেছিল।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের ওই কর্মসূচির কারণে সামরিক আইনে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের নেতা জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। সভায় শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে বিশেষ অতিথি হায়দার আনোয়ার খান জুনোর লেখা পড়ে শোনান মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক কিশোর রায়।