ভারত বিমান ছিনতাইয়ের হুমকি পাওয়ার পর দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। প্রতিটি বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরে প্রবেশ করা সব গাড়ির ওপর বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে৷
সম্প্রতি মুম্বাইয়ের এয়ার ইন্ডিয়ার কন্ট্রোল রুমে একটি উড়ো ফোন আসে৷ সেখানে হুমকি দিয়ে বলা হয় কান্দাহারের মতো ফের ছিনতাই করা হবে ভারতীয় কোনো বিমান৷ এমন হুমকির পরই নড়েচড়ে বসেছে ভারতের নিরাপত্তা দপ্তর।
বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রতিটি বিমানবন্দরের প্রবেশ ও বাইরের পথে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করতে বলা হয়েছে৷ বিমানবন্দর সংলগ্ন রাস্তায় নিরাপত্তা বাড়াতে বলা হয়েছে৷ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের বিমানগুলিতে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে৷ বিশেষ করে পাকিস্তানের আকাশ ছুঁয়ে যে বিমানগুলি গাল্ফ যায় সেই বিমানগুলিকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে৷
ভারতের অধিকাংশ বিমানবন্দরে নিরাপত্তা দেয় সিআইএসএফ৷ তাদের তরফে বিমানবন্দরগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা স্বীকার করা হয়েছে।
এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে প্রবেশ পথে স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছে৷ প্রতিটি চেক পয়েন্টে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ এছাড়া এয়ারলাইন্সগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে সেকেন্ডারি ল্যাডার পয়েন্ট চেকিং ব্যবস্থা শুরু করার৷ যাত্রীদের নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একটু আগে বিমানবন্দরে আসার আর্জি জানানো হয়েছে৷ কেননা এতগুলি নিরাপত্তার স্তর পেরোতে সময় লাগবে৷ এছাড়া সুইপিং স্কোয়াড নামানো হয়েছে৷ যাদের কাজ হল সন্দেহভাজন যাত্রীদের চিহ্নিত করা৷ সব বিমানবন্দরে এদের নামানো হয়েছে৷ এছাড়া ডগ স্কোয়াড, বম্ব স্কোয়াডকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে৷
সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রীত কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে আধা সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে বোমার হামলার ঘটনায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ এবং হুমকি পাল্টা হুমকি দিচ্ছে। এমন অবস্থায় ওই উড়ো ফোনকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত।