ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৫০০ কোটি টাকা হতে হবে

বিশেষ প্রতিনিধি

বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

অনুমোদন পাওয়া নতুন ৩ ব্যাংক নয়, সব ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ন্যূনতম ৫০০ কোটি করতে হবে। আর এজন্য দুই বছর সময় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম মত ও পথকে বলেন, সর্বশেষ পর্ষদ সভায় ৪০০ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন সংগ্রহের শর্তে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক এবং পিপলস ব্যাংকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

universel cardiac hospital

ওই সভায় আগে অনুমোদন দেয়া ব্যাংকগুলোকে দুই বছরের মধ্যে মূলধন ৫০০ কোটি টাকা উন্নীত করার শর্ত দেয়া হয়েছে। যেসব ব্যাংকের মূলধন এখনও ৫০০ কোটি টাকার কম রয়েছে তাদের এ শর্ত পূরণ করতে হবে।

খুব শিগগিরই এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।

তিনি বলেন, ব্যাংক উদ্যোক্তারাই বলছেন, দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে। তারা আরও ব্যাংক চাচ্ছেন।

সেক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা তাদের জন্য বেশি চাপ হওয়ার কথা নয়। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুমোদন পায় বেসরকারি খাতের ৩ ব্যাংক, এ নিয়ে দেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৬২-তে উন্নীত হতে যাচ্ছে।

এত দিন নতুন কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে ৪০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন হলেই চলত। নতুন ৩টির ক্ষেত্রে এই অংক ১০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ৩ মেয়াদে এ নিয়ে ১৪টি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এছাড়া বিশেষ আইনে গঠিত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে গত বছর তফসিলি ব্যাংক হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়। গত সরকারের শেষ দিকে অনুমোদন পাওয়া ৩টিসহ ৪টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের আবেদন জমা পড়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকে।

তখন বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের (বিপিডব্লিউটি) উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ব্যাংক শুধু অনুমোদন পেয়েছিল। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে চাপ আসা সত্ত্বেও বাকি তিনটি ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার প্রস্তাবটি স্থগিত রেখেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে