বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মো. শাহ আলমগীরের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শাহ আলমগীর। এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।
শাহ আলমগীরের পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে। ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। শাহ আলমগীর ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ‘কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার ২০০৬, ‘চন্দ্রাবতী স্বর্ণপদক ২০০৫ ’, ‘রোটারি ঢাকা সাউথ ভকেশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ এবং ‘কুমিল্লা যুব সমিতি অ্যাওয়ার্ড ২০০৪’ পেয়েছেন।
পারিবারিক জীবনে শাহ আলমগীর এক ছেলে ও মেয়ের জনক। তার স্ত্রী ফৌজিয়া বেগম একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত। ছেলে আশিকুল আলম কর্মরত রয়েছেন এইচএসবিসি ব্যাংকে। মেয়ে অর্চি অনন্যা অধ্যয়নরত।
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এক শোকবার্তায় বলেন, শাহ আলমগীরের মৃত্যু বাংলাদেশের গণমাধ্যম জগতের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার নীতি ও আদর্শ সাংবাদিকদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি মরহুম শাহ আলমগীরের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।