‘ভোটার হব, ভোট দেব’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আজ শুক্রবার ১ মার্চ প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ পালিত হবে।
দিবসটি উপলক্ষে নির্বাচন ভবনসহ দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ভোটার দিবসে রাজধানীতে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচির আয়োজনের কাজ চলছে। ভোটার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংসদ ভবনের সামনে থেকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন পর্যন্ত র্যালি হবে।
বিকেল ৪টায় নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, ইসির পাঁচ কমিশনার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হবে।
গত বছরের ২ এপ্রিল ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ ১ মার্চকে ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা।
এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রিসভা।
এদিকে, ভোটার দিবস উপলক্ষে শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ভবনে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার দিবস উপলক্ষে ইতোমধ্যে নির্বাচন ভবন চলছে সাজসজ্জার কাজ। ভবনের চারপাশ সাজানো হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্য কমিশনারদের ছবিসহ ‘১ মার্চ ভোটার দিবস’ লেখাসম্বলিত নানা ব্যানারে। শুক্রবার র্যালি করার জন্য নির্বাচন ভবনে আনা হয়েছে নানা সাজ-সরঞ্জাম।
আজ সকাল ৯টায় স্থানীয়ভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও র্যালি করা হবে। এই আয়োজনেই অধিক সংখ্যক অংশগ্রহণকারী নিশ্চিত করার জন্য বলেছে ইসি।
এরপর বেলা সাড়ে ১০টায় আলোচনা অনুষ্ঠান ও ভোটার সেবা কার্যক্রম, সাড়ে ১১টায় চা-চক্র এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে।
ইসির কর্মকর্তারা আরো জানান, ভোটার দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোস্টার ইসি সচিবালয় থেকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় সরবরাহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ভারতে ২৫ জানুয়ারি, পাকিস্তানে ৭ ডিসেম্বর, শ্রীলঙ্কায় ১ জুন, ভুটানে ১৫ সেপ্টেম্বর, নেপালে ১৯ ফেব্রুয়ারি ও আফগানিস্তানে ২৬ সেপ্টেম্বর ভোটার দিবস পালিত হয়।