কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছে। বিজিবি ও পুলিশের দাবি, নিহতরা সবাই মাদক ব্যবসায়ী। নিহতরা হলেন- নজির আহমেদ (৩৮) , গিয়াস উদ্দিন (৩৫), আব্দুস শুক্কুর ও তার ছেলে মো. ইলিয়াছ। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শুক্রবার ভোর রাতে গোপন সংবাদে জানতে পারে হোয়াইক্যংয়ের বরতলী এলাকায় ইয়াবা বেচাকেনা হচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশও আত্নরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে নজির আহমেদ ও গিয়াস উদ্দিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেল জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কক্সবাজারে রেফার করেন। কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার পথে তারা মারা যায়। । কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার পথে তারা মারা যায়।
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে ৩টি দেশীয় অস্ত্র, ৪ রাউন্ড কার্তুজ, ২৩টি গুলির খোসা ও ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।এসময় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হলেন,এসআই সুজিত চন্দ্র দে, এএসআই খায়রুল, কনস্টেবল এরসাদুল ও বেলাল উদ্দিন।
এদিকে,টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, শুক্রবার ভোরে টেকনাফের সাবরাং মগপাড়া কাকঁড়া প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে একটি ইয়াবার চালান প্রবেশ করতে পারে এমন সংবাদে ২ বিজিবির নায়েক সুবেদার শাহ আলমের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালায়। এসময় বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইয়াবা পাচারকারিরা। বিজিবিও এসময় পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার মাদক ব্যবসায়ীর নাম ,টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ডেইল পাড়া এলাকার আব্দুস শুক্কুর ও তার ছেলে মো. ইলিয়াছ। এবং লাশের পাশ থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় সিপাহী মোঃ ইমরান হোসেন নামে বিজিবির এক সদস্য আহত হয়। সিপাহী মোঃ ইমরান হোসেন কে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।