নিউজিল্যান্ডের বিশাল রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। ভালো শুরুর পর হারিয়েছিল দ্রুত চার উইকেট।
সত্তরের ঘরে গিয়ে তামিম ইকবাল ফেরায় শংকা আরও বেড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সৌম্য সরকার এবং অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দৃঢ়তায় আর কোনো উইকেট না হারিয়েই তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ১৭৪ রান তুলে এখনও ৩০৭ রানে পিছিয়ে টিম টাইগার।
ইনিংস হারের লজ্জা থেকে বাঁচার লড়াইয়ে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল এবং সাদমান হোসেন। দুজনে মিলে গড়েন ৮৮ রানের ওপেনিং জুটি। সাদমান ইসলাম আজ ওয়াগনারের বলে ৩৭ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ‘টেস্ট স্পেশালিস্ট’ খ্যাত মুমিনুল হক এই ইনিংসেও ব্যর্থ। ২ চারে ৮ রান করে ফিরেছেন ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হয়ে। অন্যপ্রান্তে একা তামিম তুলে নিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি।
তার নতুন সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন বোল্টের বলে ফিরেন ‘ডাক’ মেরে।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দলকে টানছিলেন তামিম ইকবাল। ২৬তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর এগিয়ে যাচ্ছিলেন টানা দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির পথে। তবে আজ তা হয়নি। ব্যক্তিগত ৭৪ রানে টিম সাউদির বলে উইকেটকিপার ওয়াটলিংয়ের গ্লাভসে ধরা পড়েন দেশসেরা ওপেনার। তার বিদায়ে ইনিংস হারের শংকা আরও বেশি করে জেঁকে বসে টাইগার শিবিরে। কিন্তু শেষ বিকেলে ৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এবং সৌম্য সরকার। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৭৪। সৌম্য ৩৯* এবং মাহমুদউল্লাহ ১৫* রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে বাংলাদেশের ২৩৪ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে রেকর্ডসংখ্যক রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জিত রাভাল, টম ল্যাথামের সেঞ্চুরি এবং অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ডাবল সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে ৭১৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথমবার ৭০০ রানের দেখা পেল কিউইরা। এতদিন ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৯০ ছিল সর্বোচ্চ। লিড হয়েছে ৪৮১ রানের! শুধু ইনিংস হার এড়াতেই টাইগারদের চাই ২৮২ রান করতে হবে।
ব্যাট হাতে ২৫৭ বলে অপরাজিত ২০০ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন। এটি তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। গ্র্যান্ডহোম খেলেন ৫৩ বলে ৭৬ রানের মারকাটারি ইনিংস। এর আগে দুই ওপেনার জিত রাভাল ১৩২ এবং টম ল্যাথাম ১৬১ রানের ইনিংস উপহার দেন। আর হ্যামিল্টন টেস্টের প্রথম সেঞ্চুরি আসে বাংলাদেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে (১২৬)।