ফরিদপুরে অপহৃত কিশোর ভ্যানচালক কামরুল হাসানের গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে সদরপুরের ভাষানচর ইউনিয়নের শৈলডুবি গ্রামের মজুমদারের বাজারের পাশে একটি সর্ষে ক্ষেতের মধ্যে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ঠেঙ্গামারী গ্রামের মৃত ইছহাক তালুকদারের ছেলে কামরুলকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।
জানা গেছে, কামরুলকে অপহরণের পরপরই তার ভ্যানটি নিয়ে বিক্রির জন্য যাওয়ার পথে গ্রামবাসী হান্নান মাতুব্বরকে আটক করে।
ওই রাতেই হান্নানসহ জাকির খাঁ ও নগরকান্দা উপজেলার বিল গোবিন্দপুর গ্রামের মো. বাবলুকে আসামি করে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। মামলা করেন কামরুলের মা আছমা বেগম। পরে হান্নানের দেয়া তথ্য মতে পুলিশ নিজ গ্রামের জাকির খাঁকে আটক করে। মামলার অপর আসামি বাবুল পলাতক রয়েছে।
অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুজ্জামান জানান, অপহৃতের মৃতদেহ উদ্ধারের পর এখন অপহরণ মামলাটিই হত্যা মামলা হিসেবে পরিগণিত হবে। এই মামলায় এজাহারভুক্ত তিনজন আসামির মধ্যে দুই জনকে আটক করা হয়।
সদরপুর থানার ওসি (তদন্ত) সুব্রত গোলদার জানান, কামরুলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। অপহরণের পর খুন করে মৃতদেহটি ফেলে রাখা হয়। হত্যা রহস্যের অনেকটাই উন্মোচিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, খুব শিগগিরই মামলার তদন্ত শেষ করতে পারবেন বলে তিনি জানান।