শত কোটি টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের ২২ জন গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট :

ছবি: সংগৃহিত

মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডার বানানোর লোভনীয় অফার দেখিয়ে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করা একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের টার্গেট করতো তাঁরা। পরে তাঁদের অফারে ভিকটিমরা রাজি হলে মোটা অংকের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যেতো চক্রটি।

আজ শনিবার বেলা ১১টায় র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এক সংবাদ সম্মেলনে এ চক্রটির তথ্য জানান।

universel cardiac hospital

গত ১৫ বছর ধরে অভিনব কায়দায় প্রতারণার মাধ্যমে চক্রটি আনুমানিক একশ’ কোটির বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মানুষজনের কাছ থেকে।

মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির নামে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সুসজ্জিত অফিস খুলতো চক্রটি। পরে টার্গেট করা লোকদের কৌশলে অফিসে এনে ভুয়া চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে নিতো। তাদের বলা হতো এই চুক্তির মাধ্যমে তাদের কোম্পানির উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে কিছুদিন যাওয়ার পর তাদের কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার করার প্রস্তাব দিত । প্রস্তাবে ভিকটিমরা রাজি হলে তাদের কাছে মোটা অংকের টাকা চেত এবং নগদ অর্থ হাতে পাওয়ার পরপরই অফিসসহ উধাও হয়ে যেতো প্রতারক চক্রের সদস্যরা।

গতকাল থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত র‌্যাব-৪ এর একটি টিম রাজধানীর মিরপুর, দারুস সালাম, উত্তরা ও রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভুয়া নথিপত্র ও সরঞ্জাম জব্দসহ প্রতারক চক্রের ২২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ইমরান হাসান (২৭), হুমায়ুন কবির হালিম (৫৭), মো. রফিকুল ইসলাম (৪৯), আব্দুল বারী আব্দুল আউয়াল (৪০), শাহাদাত হোসেন (৩০), মো. মিনহাজ (৫৬), কামরুজ্জামান (৪৬), মো. হাবিবুর রহমান (৩৫), সঞ্জিত সাহা (৩৪), মেহেদি হাসান হাবিব (৩১), ইউসুফ (৫৩), মামুনুর রশীদ চৌধুরী (৩৪), মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান ওরফে আব্দুল জলিল (৫০), মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান (৩৫), মো. রফিকুল ইসলাম (৬৪) এবং মো. মিজান (৩৫)। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

পাঁচটি কৌশল অবলম্বন করে তারা এই প্রতারণা করে আসছিল জানিয়ে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের জমি বা নির্মাণাধীন ভবনের ওপর ইন্টারনেট টাওয়ার স্থাপনের প্রলোভন, এনজিও সেজে বিনা খরচে সোলার প্যানেল স্থাপনের চুক্তি, ইট-পাথর-রড-সিমেন্ট-গার্মেন্টস-ঠিকাদারি দেওয়ার কথা বলে এবং অফিসে নিয়ে এসে তাস খেলার ফাঁদে ফেলে ব্যক্তির কাছ থেকে বড় অংকের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিতো চক্রটি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে