বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ঢাকাবাসী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপ-নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে নীরব প্রতিরোধ প্রদর্শন করেছেন। কারণ সরকারের ধারাবাহিক ভোট ডাকাতিতে বিক্ষুব্ধ নগরবাসী।
আজ শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
দলটির নেতৃবৃন্দ বলেন, ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দানে বিরত থাকায় নির্বাচন কমিশনের হিসাব মতে মাত্র ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচন না থাকলে ভোটের পরিমাণ আরও কম হতো।
ক্ষমতাসীনদের ধারাবাহিক ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে ভোটকেন্দ্রে অনুপস্থিত থেকে ভোটাররা যে নীরব প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তাকে স্বাগত জানিয়ে তারা বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনকে তামাশা ও প্রহসনে পরিণত করেছে। তার সঙ্গে সহযোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তারা বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রার্থীবিহীন নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জনকে জিতিয়ে এনেছিল আওয়ামী লীগ। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়ায় ঘোষণায় ভীত হয়ে ২৯ ডিসেম্বর রাতেই নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্স ভরে রেখেছিল আওয়ামী লীগ। ‘ভুয়া ভোটের’ মাধ্যমে এবার তারা নিজেদের ২৯৩ প্রার্থীকে জিতিয়ে নিয়েছে। এতে অনেক কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি ব্যালটে নৌকায় সিল মেরে নির্বাচনকেই হাস্যকর বিষয়ে পরিণত করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ৩০ ডিসেম্বর যেসব কেন্দ্রে নৌকা মার্কায় ৯০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছিল, ২৮ ফেব্রুয়ারি সেসব কেন্দ্রেই নৌকা মার্কা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভোট ডাকাতির ফলশ্রুতিতে সৃষ্ট হতাশা থেকেই মানুষ নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য অশনি সংকেত।